প্রথম ‘মাধ্যমিক পাশ’কে বরণ করতে উত্সব এই গ্রামে


নিজের নাম টুকু সই করতে পারেন না বাবা। টিপ সই দিয়ে কাজ চালান। এ যাবত পরিবারের কেউ প্রাথমিকের গণ্ডি পার হননি। শুধু পরিবারেরই নয়, গ্রামের কেউই মাধ্যমিক পাশ করেননি। এ বারই প্রথম মাধ্যমিক পাশ করে তাই সকলের চোখের মনি হয়ে উঠেছে ঝাড়খন্ডের এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে অনু কুমারী। 

ওই আদিবাসী পাড়ায় ১২টি ঘর রয়েছে। অধিকাংশই দিনমজুর। জঙ্গলেই তাঁরা জীবন অতিবাহীত করেন। ওই গ্রামে রয়েছে প্রাথমিক স্কুল। দেড় কিলোমিটার দূরত্বে হাইস্কুল। কিন্তু এ পর্যন্ত ওই পাড়ার কোনও মেয়েই মাধ্যমিক পাশ করেননি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। চিরাচরিত আদিবাসী প্রথা ভেঙে, বিয়ে না দিয়ে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন অনুর বাবা ছালিতর পারাহিয়া। মেয়ের এই সাফল্যে তিনি আজ গর্বিত। হাতে গোনা কয়েকজন মাধ্যমিকের চৌকাঠ পার হওয়ার আগেই স্কুলছুট হয়ে গিয়েছেন। অনু কুমারী এই প্রথম স্থানীয় ঝাড়খন্ড এ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে মাধ্যমিকে পাশ করে সকলকে চমকে দিয়েছে।

তিন ভাই-বোনের সঙ্গে থাকে অনু। বাকি তিন জন অনেক আগেই স্কুলছুট হয়ে গিয়েছে। বাবার উত্সাহে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে অনু। আর পাশে ছিলেন ওই স্কুলের প্যারা শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার রাম। সাফল্য পাওয়ার পর অনু বলেথে, 'বাবার পাশাপাশি আমার পাশে থেকেছে রাম স্যার। আমার সাফল্যের জন্য তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।'