সম্পত্তির লোভে যুবককে খুন দুই দিদির, চাঞ্চল্য গাইঘাটায়


বনগাঁ: কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবলের স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যু৷ মৃতের দুই দিদি ও জামাইবাবুর বিরুদ্ধে সম্পত্তির লোভে খুনের অভিযোগ দায়ের৷ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনা গাইঘাটায়৷

গাইঘাটার শ্রীপুরের বাসিন্দা বাসুদেব দে৷ নিজের বাড়িতে ফুলের একটি নার্সারি চালাতেন তিনি৷ বাসুদেবের স্ত্রী ঝুমা কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল৷ তাঁর অভিযোগ, সম্পত্তির লোভে স্বামীর উপর রীতিমতো অত্যাচার চালাতেন তাঁর দুই ননদ ও তাঁদের স্বামীরা৷ অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, স্ত্রীকে বাপের বাড়ি রেখে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন বাসুদেব৷ মায়ের সঙ্গে থাকত ওই দম্পতির একমাত্র ছেলেও৷ তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না৷ বাসুদেব দে-র স্ত্রীর দাবি, মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা করে আসতেন তিনি৷ পুলিশকে ঝুমাদেবী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে যখন তিনি ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন খবর পান, বিষ খেয়েছেন বাসুদেব৷ তড়িঘড়ি হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছান ঝুমা৷ কিন্তু, ততক্ষণে মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী৷ কলকাতা পুলিশের ওই মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগ, বিষ খাওয়ার পরেও বাসুদেবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেননি তাঁর বাড়ি লোকেরা৷ দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন তিনি৷ মৃতের স্ত্রীর অভিয়োগের ভিত্তিতে বাসুদেব দে-র দুই দিদি ও জামাইবাবুকে আটক করেছিল গাইঘাটা থানার পুলিশ৷ পরে অবশ্য তাঁদের ছে়ড়ে দেওয়া হয়৷

এদিকে এই ঘটনায় নিহত বাসুদেব দে-র স্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুদ্ধ তাঁরা৷ বনগাঁ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার রাতে বাসুদেব দে-র মরদেহ আনা হয় গাইঘাটার শ্রীপুরের বাড়িতে৷ দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ বৃহস্পতিবার বেশি রাতে মৃতের দুই দিদি, জামাই বাবু-সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷