নামী রেস্তরাঁর মাংসেও ব্যাক্টিরিয়া!


নামী রেস্তরাঁর অন্দরমহলও যে সুরক্ষিত নয়, আরও এক বার তা প্রমাণ হয়ে গেল। বিধাননগর পুরসভা অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত সন্দেহজনক খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছিল, তার আটটিতে ক্ষতিকারক ব্যাক্টিরিয়ার সন্ধান মিলেছে। সোমবার এ কথা জানান পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়।

ভাগাড়-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে পুর এলাকার বিভিন্ন রেস্তরাঁর খাবার যাচাইয়ে অভিযানে নেমেছিল বিধাননগর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। কয়েক দফায় সল্টলেক, রাজারহাট-গোপালপুরের বিভিন্ন রেস্তরাঁ ও ফুড চেনের দোকান থেকে খাবার সংগ্রহ করে সেগুলি পরীক্ষার জন্য কনভেন্ট রোডের 'ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরি'-তে পাঠানো হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, টাকার জন্য এত দিন রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি। সেই রিপোর্ট হাতে পেতেই চক্ষু চড়কগাছ পুর কর্তাদের! এ দিন প্রণয়বাবু জানান, বিভিন্ন রেস্তরাঁ থেকে ৩৩টি খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৩টির রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। মেয়র পারিষদ বলেন, ''১৩টি নমুনার রিপোর্টের মধ্যে আটটিতে ব্যাক্টিরিয়ার সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে রান্না করা এবং প্যাকেটবন্দি, দু'রকম মাংসই রয়েছে।'' ওই সমস্ত মাংসে ই-কোলাই, কলিফর্ম, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, সালমনেলা এবং ইস্ট মিলেছে। প্রণয়ের কথায়, ''রিপোর্ট বলছে, খাবারে এই সমস্ত ব্যাক্টিরিয়া যে মাত্রায় থাকা উচিত, তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই নিরাপদ নয়।''

চিনার পার্ক সংলগ্ন এক নামী রেস্তরাঁ থেকে খাদ্য অভিযান শুরু করেছিল পুরসভা। ঘটনাচক্রে, ক্ষতিকারক খাবার পরিবেশনে সল্টলেকের একটি নামী পিৎজ়া চেনের পাশাপাশি চিনার পার্কের ওই রেস্তরাঁর নামও রয়েছে। এ দিন প্রণয় বলেন, ''ওই রিপোর্টের প্রতিলিপি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য ভবন যেমন নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করব। থানায় অভিযোগ জানানোর বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন অভিযান আবার হবে। নাগরিক স্বার্থে এ ধরনের রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।''