ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে ধর্ষণ, পুলিশের জালে গুজরাতের চিকিত্সক


পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে ধর্ষণে অভিযুক্ত চিকিত্সক। ভদোদরার নাদেসারি এলাকার অঙ্গদ গ্রামে রোগিনীকে নিজের ক্লিনিকের মধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। 

নাদেসারি পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চিকিত্সকের নাম প্রতীক জোশি। শনিবার পঞ্চমহল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দুপুরে তাঁকে আটক করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত ১১ জুন ওই মহিলা প্রতীক জোশির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারিণীর দাবি, ক্লিনিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই চিকিত্সক। সেই সময় ওই ক্লিনিকের কম্পাউন্ডার তাঁর ফোনে ভিডিয়ো করছিলেন বলে দাবি করেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগ পেয়ে সেদিন রাতেই দিলীপ গোহিল নামে ওই কম্পাউন্ডারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 
যদিও ঘটনার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত চিকিত্সক। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।

পুলিশি জেরায় ওই চিকিত্সকের দাবি, ধর্ষণের ঘটনাটি তিন মাস আগেকার। ধৃত কম্পাউন্ডার ও তাঁর দুই সঙ্গী মিলে ওই চিকিত্সককে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেছিল। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে অপহরণ করে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। 

পুলিশ আলাদা করে অপহরণ ও ব্ল্যাকমেলের ঘটনারও তদন্ত শুরু করেছে। যদিও আরও দুই অভিযুক্ত মহেন্দ্র ও বিক্রম গোহিলকে এখনও ধরতে পারেননি তদন্তকারীরা।