অমরনাথ যাত্রায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ছক জঙ্গিদের


শ্রীনগর: নয়া নয়া পদ্ধতিতে বিস্ফোরণের ছক কষছে জঙ্গিরা৷ টার্গেট অমরনাথ যাত্রা৷ দুমাস ধরে চলা এই যাত্রা শুরু হতে চলেছে ২৮ জুন৷ তার আগেই গোয়েন্দাদের সামনে এল নয়া তথ্য৷

গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ছক রয়েছে জঙ্গিদের৷ এই গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে যাত্রার মাঝপথে৷ গোপন সূত্রে এমনই তথ্য সামনে পেয়েছেন গোয়েন্দারা৷

তিন লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী এবছর অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিতে চলেছেন৷ বিশেষ সূত্রে খবর জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে৷ এবছর অমরনাথ যাত্রায় বড়সড় নাশকতার ছক রয়েছে জঙ্গিদের, এখবর আগেই জানিয়ে ছিল ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট৷ ইতিমধ্যেই পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করে কাশ্মীরে প্রবেশ করেছে জঙ্গিরা বলে খবর৷

উপত্যকায় লাগাতার সংঘর্ষ চলাকালীনই ওই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করেছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের৷ মূলত গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলে জানানো হয়েছে৷ ফলে অমরনাথ মন্দির অভিমুখী গাড়িগুলির বিশেষভাবে তল্লাশি করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ওই রাস্তায় যে কোনও ধরণের যানবাহনের ওপরেই কড়া নজর রাখা হবে বলে সেনা সূত্রে খবর৷

ৱশ্রী অমনরনাথ জী শ্রাইন বোর্ডের কাছে প্রতিটি গাড়ির রেজিস্ট্রেNন হয়, নজরদারি চলবে সেই সব তালিকাভুক্ত গাড়িগুলিতেও৷ সব মিলিয়ে এ বার অমরনাথ যাত্রায় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও আঁটোসাঁটো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

এরআগে, যাত্রার নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই যাত্রায় নিরাপত্তাবাহিনীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।

গত বছর কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রীদের ওপরে লস্কর জঙ্গির হামলার স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে এ বারও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। আগামী ২৮ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। টানা ২১ দিন ধরে চলবে এই যাত্রা৷

যাত্রীদের ওপর স্যাটেলাইট ট্র‌্যাকিং পদ্ধতির মাধ্যমে গোয়েন্দা বিভাগ নজরদারি চালাবে। তীর্থযাত্রীরা দক্ষিণ কাশ্মীরের অমরনাথের পবিত্র গুহার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। ২০০ কিমি রাস্তা অতিক্রম করবেন তাঁরা৷

প্রশাসনের পক্ষ থেকে খবর ‌তীর্থযাত্রীদের ওপর জঙ্গি হামলার বিষয়টিকে কোনওভাবেই হালকা করে দেখছে না তারা৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও সতর্কতার প্রচার চালানো হচ্ছে৷

জম্মু–কাশ্মীর সরকার তীর্থযাত্রীদের জন্য পুলিস, সেনা, বিএসএফ ও সিআরপিএফ মিলিয়ে মোট ৩৫ থেকে ৪০ হাজার সেনার ব্যবস্থা করেছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ২৫০ বাহিনী (‌২৫ হাজার)‌ রাজ্যকে দিয়েছে। পুলিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্যাটেলাইট ট্র‌্যাকিং পদ্ধতি, সিসি ক্যামেরা, জ্যামারস, ডগ স্কোয়াডস, বুলেট–প্রুফ বাঙ্কারস সহ অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে তীর্থযাত্রীদের ওপর নজরদারি চালানো হবে।