ছেলের নিষ্কৃতিমৃত্যু চাইলেন রাজীব হত্যাকারীর মা


রাজীব গাঁধী ও পেরারিভালান।


ইতিমধ্যেই জেলে কাটিয়ে ফেলেছে প্রায় তিন দশক। সম্প্রতি তাদের মুক্তির আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর তাই এ বার ছেলের 'মুক্তি'র জন্য  নিষ্কৃতিমৃত্যুকেই বেছে নিলেন মা।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর অন্যতম হত্যাকারী পেরারিভালান। রাজীব গাঁধীকে খুনের অপরাধে ১৯ বছর বয়সে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ২৭টি বছর। কার্যত ছেলের মুক্তির আশাও ছেড়ে দিয়েছেন মা আরপুথাম্মাল। বাধ্য হয়ে ছেলের জন্য নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন জানালেন তিনি।

৭১ বছরের আরপুথাম্মাল কথায়, ''কেটে গিয়েছে ২৭টি বছর। যদি ছেলেটা জেলের মধ্যেই মারা যায়, তা হলে নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করবে। এই কষ্ট থেকে মুক্তির জন্যই নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন জানিয়েছি।'' বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং তামিলনাড়ু সরকারকে চিঠি দিয়েছেন পেরারিভালানের মা।

পেরারিভালানের আইনজীবী এস প্রভু রামাসুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন জানানোর খবরটি সত্যি। রাষ্ট্রপতি মুক্তির আর্জি খারিজ করে দেওয়ার খবর শোনার পরই ভেঙে পড়েছিলেন আরপুথাম্মাল। তার পরই এই সিদ্ধান্ত।

২০১৪ সালে পেরারিভালান, মুরুগান এবং সান্থনের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করেদিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ক্ষমাভিক্ষার আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্তে ১১ বছর দেরি হওয়ায় এই তিন জনের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরিবর্তে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ। সেই শাস্তিই ভোগ করছে জেলবন্দি পেরারিভালান।

 রাজীব গাঁধী হত্যা মামলায়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পেয়েছিল রবার্ট পায়াস। 'জেল-যন্ত্রণা' থেকে মুক্তি পেতে গত বছরই নিষ্কৃতিমৃত্যুর আর্জি জানিয়েছিল সে। তামিলনাড়ু সরকারকে চিঠি লিখে সে জানিয়েছিল, এত বছর জেলে কাটানোর পর জীবনের মানেটাই হারিয়ে ফেলেছে। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, ভবিষ্যতে সরকারের তাকে মুক্তি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। আর তাই স্বেচ্ছায় মৃত্যু'দণ্ড'ই চেয়েছিলেন তিনি!
এ বার রবার্ট পায়াসের পথে হেঁটে ফের একটি নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন জমা পড়ল।