আয়কর দপ্তরকে বেনামী সম্পত্তির খবর দিতে পারলেই ৫ কোটি টাকা ইনাম!


বেনামী সম্পত্তির হদিশ পেতে নতুন পদক্ষেপ নিল আয়কর দপ্তর। সঠিক তথ্য দিলে এবার এক কোটি টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে পুরস্কার। অন্যদিকে কেউ বিদেশে কালো টাকা লুকিয়ে রেখেছে এমন তথ্য দিতে পারলে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত পুরস্কার হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এর পাশাপাশি 'ইনকাম ট্যাক্স ইনফরম্যান্ট রিওয়ার্ড স্কিমও সংশোধিত হয়েছে। এর মধ্যে একজন ভারতীয় ভারতে আয় বা সম্পত্তির উপর করের সুনির্দিষ্ট তথ্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার পেতে পারে। এটি ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের আওতাভুক্ত।

সম্প্রতি CBDT (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস) একটি বেনামী ট্রানজাকশন ইনফর্ম্যান্টস রিওয়ার্ড স্কিম ঘোষণা করেছে। এর আওতায় কোনও ব্যক্তি যুগ্ম বা অ্যাডিশনাল কমিশনারকে বেনামী সম্পত্তি ও ট্রানজাকশন সম্পর্কে জানাতে পারবে। এটি ২০১৬ সালের বেনামী ট্রানজাকশন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে। CBDT-র তরফে জানানো হয়েছে, মানুষকে উৎসাহ দিতে এই যোজনা আনা হয়েছে। বেনামী ট্রানজাকশন ইনফর্ম্যান্টস রিওয়ার্ড স্কিম অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি বেনামী সম্পত্তি বা লেনদেনের খবর দিতে পারলে তাকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে সেই ব্যক্তিকে সমস্ত প্রমাণ সহ আয়কর দপ্তরের বেনামী প্রহিবিশন ইউনিটের যুগ্ম বা কার্যকরী কমিশনারকে বিষয়গুলি জানাতে হবে। আয়কর দপ্তর এও জানিয়েছে, এক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হবে না। সুরক্ষার স্বার্থেই এই সব তথ্য গোপন রাখা হবে।

এছাড়া বিদেশে কালো টাকা গচ্ছিত রযেছে, এমন কোনও তথ্য আয়কর দপ্তরকে দিতে পারলে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়া যাবে। ২০১৫ সালের ব্ল্যাক মানি (বৈদেশিক আয় ও সম্পত্তি) অ্যান্ড ট্যাক্স অ্যাকশন অফ অ্যাক্টের অধীনে এই যোজনাটি আনা হয়েছে। দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, পুরস্কারের এই অংক ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। বিদেশি দেশগুলিতে সম্ভাব্য সূত্র তৈরি করার জন্য এই পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে আয়কর দপ্তর জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কালো টাকা দিয়ে অন্য কারোর নামে সম্পত্তি কেনা হয়। এই সব কাজ রুখতেই এবার এমন পদক্ষপ নিতে চলেছে আয়কর দপ্তর।