জামাইষষ্ঠী খেতে গিয়ে বিপদ!

শ্বশুড়বাড়ির হাতে মার খেয়ে হাসাপাতালে যুবক

জামাইষষ্ঠীর দিন সকালেই স্ত্রী'র সঙ্গে ঝগড়া। তার পর শ্বশুড়বাড়ি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে একাই গেল স্বামী। এর জেরেই ঘটে গেল মারাত্মক ঘটনা।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ খেতে এসে শ্বশুড়বাড়ির লোকেদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হল এক যুবক। আক্রান্ত ওই যুবকের নাম সঞ্জিত মণ্ডল। মঙ্গলবার সকালে শ্বশুড়বাড়িতে যাওয়ার আগে স্ত্রী ময়না মণ্ডলের সঙ্গে বচসায় জড়ায় সঞ্জিত। স্ত্রী যেতে না চাওয়ায় একাই শ্বশুড়বাড়িতে চলে যায় সে। কিন্তু এর পরেই বাঁধে বিপত্তি।

স্ত্রীকে সঙ্গে না নিয়ে আসায় সন্দেহ হয় শ্বশুড়বাড়ির লোকেদের। সেই সময় ময়নার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে ফোন আসে সঞ্জিতের কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই সঞ্জিতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ময়নাকে সঞ্জিতই খুন করেছে। বেধড়ক মারধর করা হয় সঞ্জিতকে।
খবর পেয়ে জয়নগর থানার পুলিশ আসলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিযোগ, এর পরেই পুলিশের উপর চড়াও হন এলাকাবাসীরা। এক সাব ইন্সপেক্টর-সহ পাঁচ পুলিশকর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে।

জখম সঞ্জিত মণ্ডল এবং আহত পুলিশকর্মীদের স্থানীয় নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। শ্বশুড়বাড়ির সদস্যদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্জিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।