জমছে আবর্জনার স্তূপ, মানুষের বিষ্ঠার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এভারেস্টে!


প্রতিবছরই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে চড়তে হাজার হাজার পর্বতারোহীরা হাজির হন নেপালের বেস ক্যাম্পে। সম্প্রতি মাউন্ট এভারেস্ট থেকে ফিরছেন পর্বতারোহীরা। পর্বতচূড়োয় নিজেদের জয়গানের চিহ্ণ হিসেবে রেখে আসছেন বহু নিদর্শন। দেশের পতাকা, ছবি-সহ আরও অনেক কিছুই। 

৮.৮৪৮ মিটার উচ্চতায় সাবমিট রুটের অভিযান শেষে পর্বতারোহীরা নিয়ম অমান্য করে অক্সিজেনের খালি সিলিন্ডার, ফ্লুরোসেন্ট তাঁবু, ক্লাইম্ব করার নানান সরঞ্জাম ও মানব বর্জ্য পদার্থ ফেলে আসছেন। এমনকি শীর্ষ সাবমিট বেস ক্যাম্পেও বর্জ্য পড়ে থাকছে। ১৮ বার এভারেস্টজয়ী পেম্বা দোরজে শেরপা আফসোসের সুরে জানিয়েছেন, চোখের দূষণ তো বটেই। গোটা পর্বতটাই এখন টন টন বর্জ্যে পরিপূর্ণ! 

উল্লেখ্য, এ বছর প্রায় ৬০০জন সফল ভাবে এভারেস্টে চড়তে পেরেছিলেন। এছাড়া ক্যাম্পগুলিতে ও অভিযান কালে পর্বতারোহী ছাড়াও গাইড ও মালবাহকরাও থাকেন। 

পাঁচ বছর আগে নেপাল সরকার থেকে একটি নিয়ম জারি করেছিল। এভারেস্ট অভিযান শেষ করে, সব পর্বতারোহীদেরই ১৮ পাউন্ড বর্জ্য জিনিসপত্র নিচে নামিয়ে আনতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রতিবছরই শৃঙ্গের বিভিন্ন ক্যাম্পগুলি থেকে টন টন বর্জ্য পরিষ্কার করেছিল নেপাল সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৫ টন বর্জ্য ও ১৫ টন মানব বর্জ্য পরিস্কার করে নেপাল সরকার। যা নাকি তিনটি বিশাল ডবল ডেকার বাসের সমান পরিমান বর্জ্য নিকাশ করা হয়েছিল। 

পর্বতারোহীদের একাংশের কথায়, এখন এভারেস্টের ক্যাম্পগুলিতে শুধু মানুষের বিষ্ঠার গন্ধ। বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট গড়া সত্ত্বেও মানুষের সচেতনতার অভাবে বেড়েই চলেছে দূষণ।