অম্বুবাচী, তাই কামাখ্যায় বন্ধ মন্দির


গত কাল রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শুরু হয়েছে অম্বুবাচীর যোগ। কিন্তু মন্দিরের দরজা বন্ধ বিকেল থেকেই। খুলবে অম্বুবাচীর শেষে, ২৬ জুন। কামাখ্যা জুড়ে শতায়ু সাধু, রুদ্রাক্ষ বাবা, বহুরূপী, নাগা সন্ন্যাসীর দল, বাউল গত কাল থেকেই মেলা জমিয়ে তুলেছেন।

নানা দাবি, নানা প্রবচন। আক্ষরিক অর্থেই নানা মুনি, নানা মতে জমজমাট নীলাচল পাহাড়। ১৮৯৬ সালে বাংলাদেশের শ্রীহট্টে তাঁর জন্ম বলে দাবি শিবানন্দ বাবার। '১২২ বছর' বয়সের এই সাধুকে দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়। ১৯৫৪ থেকে এক বারের জন্যও কামাখ্যায় গরহাজির হননি তিনি। ও পাশে রুদ্রাক্ষবাবার মালার ওজন প্রতিবার বাড়ছে। এবারে তিনি ৫০ কেজি রুদ্রাক্ষ গলায় হাতে জড়িয়ে কামাখ্যায় হাজির। অযোধ্যায় শীঘ্রই রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আশীর্বাদ চেয়ে কামাখ্যায় এসেছেন ধরমদাস মহারাজ, জুনা আখাড়ার অধ্যক্ষ শ্রী প্রেম গিরি, আখাড়া পরিষদের মহামন্ত্রী শ্রী মহন্ত গিরি ও নিরঞ্জনী আখাড়ার সচিব মহন্ত নরেন্দ্র গিরি।
নাগা সন্ন্যাসীরা বরাবরই কামাখ্যার প্রধান আকর্ষণ। কিন্তু প্রশাসন 'নগ্নতা' ও মাদকে রাশ টানায় তাঁরা ক্ষিপ্ত। নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই নগ্ন সন্ন্যাসীরা ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে ব্যস্ত। চলছে গঞ্জিকা সেবনও। সন্ন্যাসীদের 'কাঁচা অভিশাপ' কুড়োতে চান না পুলিশ-স্বেচ্ছাসেবকরা। তাই সব দেখেও দেখছেন না।
কাল থেকে কামাখ্যায় শুরু হয়েছে বিশ্বশান্তির জন্য 'অখণ্ড যজ্ঞ'। গমগমে নীলাচল পাহাড় এ বার ত্রিশ লক্ষ মানুষের সমাগমের জন্য তৈরি। ভক্তদের মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রশাসন ৮০টি বাসের বন্দোবস্ত করেছে। নজরদারি  রাখতে বসানো হয়েছে ৪০০ সিসি ক্যামেরা।