বোতলে বিক্রি ভুয়ো মিনারেল ওয়াটার, জোড়াবাগানে গোয়েন্দা পুলিশের হানা


বোতলে করে বিক্রি হচ্ছিল ভুয়ো মিনারেল ওয়াটার। অভিযোগ, সেই জল থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে সাংঘাতিক অসুখ। উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানের একটি গুদাম থেকে প্রচুর ভুয়ো মিনারেল ওয়াটারের বোতল উদ্ধার করলেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার গোয়েন্দারা।

পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও শহরে ভুয়ো মিনারেল ওয়াটার বিক্রি ঘিরে অভিযোগ উঠেছিল। যে সংস্থাগুলির জল বিক্রি করার বৈধতা নেই, সেগুলির নামও প্রকাশ করেছিল পুরসভা। এর পর ভুয়ো বা অবৈধ মিনারেল ওয়াটার বিক্রি অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন আগে ইবি-র গোয়েন্দারা খবর পান যে, উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানের মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে একটি গুদামে এনে রাখা হয়েছে প্রচুর মিনারেল ওয়াটারের বোতল ও ড্রাম। কিন্তু সেই জলের ব্র‌্যান্ড সন্দেহজনক বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। গুদামটিতে হানা দেন ইবি-র গোয়েন্দারা। একটি বিশেষ ব্র‌্যান্ডের জলের বোতল ও ড্রাম উদ্ধার হয়। এই জলের কোনও বৈধতা নেই বলে পুলিশ জানতে পারে। পুলিশের অভিযোগ, অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি করা হয় এই মিনারেল ওয়াটার। এই জল খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। সেই অসুখ ছড়িয়ে পড়তেও পারে। যে সংস্থাটি এই জল তৈরি করছে, তার কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভেজাল দ্রব্য বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও শহরে ভুয়ো মিনারেল ওয়াটার বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল. একাধিক ছোট দোকানে এই ধরনের জলের বোতল বিক্রি হয়, যার কোনও বৈধতা নেই। বিশেষত এই গরমের মরশুমে এর দাপট আরও বাড়ে। কিছুদিন আগেই শহরের দক্ষিণে আন্ত্রিকের প্রকোপের সময়ও এই ঘটনা সামনে এসেছিল। সাধারণ অপরিশোধিত জলই বোতল বা ড্রামবন্দি হয়ে মিনারেল ওয়াটারের নামে চলে যাচ্ছিল ঘরে ঘরে। বেশ কয়েকটি চক্র ধরাও পড়ে। যদিও তারপর এই ব্যবসায় লাগাম পড়েনি। জোড়াবাগানের ঘটনা তা প্রমাণ করল। এই ব্যবসায় কম খরচে বেজায় লাভ। তার উপর সাধারণ মানুষেরও সিল করা বা যে কোনও লোগো লাগানো জলের বোতলে ব্যাপক ভরসা। এ দুটোকে পুঁজি করেই রমরমিয়ে চলে ব্যবসা। পুলিশের অভিযোগ, একটি বড় চক্র রয়েছে এই মিনারেল ওয়াটার তৈরির পিছনে। সেই চক্রের মাথাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।