৬ বছর বয়সে বিয়ে, ১৮-য় পা দিয়ে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ তরুণী


যোধপুর: পুতুলের ঘর সাজাতে গিয়ে বুঝতেই পারেনি কখন যেন কাঁধে এসে পড়েছে নিজের ঘর সাজিয়ে তোলার গুরু দায়িত্বটা ৷ বুঝতেই পারেনি কখন যেন দু'টো বেনি দোলানো মেয়েটা শিখে গেল এক গলা ঘোমটা দিতে ৷

এই নিয়মেই চলছে বিগত ১২টা বছর ৷ শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারেও মুখে টুঁ শব্দটি করেনি ৷ আজ কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে ৷ মাত্র ৬ বছর বয়সে বাল্যবিবাহের শিকার পিন্টু দেবী আজ ১৮ বছরের প্রাপ্তবয়ষ্কা ৷ আজ তাই জোর করে, ইচ্ছের অমতে হয়ে যাওয়া বিয়েটার থেকে নিষ্কৃতি পেতে আদালতের চৌকাঠে পা রাখলেন রাজস্থানের যোধপুরের সাহসী মেয়ে, পিন্টু ৷

যোধপুরের পিটহাস গ্রামের পিন্টু দেবী জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে খুব ছোটবেলায় সরান নগরে গ্রামে জোর করে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগ আছে ৷ পাশাপাশি তাঁকে অত্যাচারও করতেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকরা ৷ এছাড়াও অনেক কারণ আছে যে কারণে স্বামীর সঙ্গে আর থাকতে চান না তিনি ৷ এতদিন সেখানে থাকতে তিনি বাধ্য হয়েছেন ৷ কিন্তু এখন তিনি প্রাপ্তবয়ষ্কা ৷ তাই এই বিয়ে থেকে মুক্তি চান তিনি ৷

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে আদালতের দ্বরস্থ হন পিন্টু দেবী ৷ আদালত তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছে ৷ তরুণীর স্বামীকে নোটিশও পাঠানো হয়েছে ৷ ২২ জুন মামলার শুনানি ৷