যৌনাঙ্গ কাটতে সুপারি স্ত্রীর, খুনিরা মেরেই ফেলল পারভার্ট ডাক্তারকে


চার দিনের মধ্যেই পুলিশের জালে 'নকল' খুনিরা। মঙ্গলবার ভোপালে চিকিৎসক শফতুল্লাহ খান খুন হন। আর শনিবার গ্রেপ্তার করা হল নিহতের স্ত্রী ও দুই আত্মীয়কে। 

আসলে, এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড নিহতের স্ত্রী আয়েষাই। 

ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। তদন্তে নেমে জবলপুরের পুলিশরাও হতবাক। এসপি শশীকান্ত শুক্লা জানিয়েছেন, নিহতের সারা শরীরে প্রায় ১২টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গিয়েছে। কব্জি থেকে একটি হাত প্রায় কেটেই নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছিল, এটি একটি সাধারণ ডাকাতির ঘটনা। টাকা-গয়না লুঠ করে বাড়ির মালিককে খুন করা হয়েছে। কিন্তু স্ত্রীকে জেরা করতে গিয়েই অসঙ্গতি টের পান তদন্তকারীরা। এর পরই খুনের আসল কারণ জানতে পারে পুলিশ। বয়সে দশ বছরের বড় স্বামীকে সবক শেখাতেই সমস্ত পরিকল্পনা তার। আর এই কাজে আয়েষাকে সাহায্য করেছিল তার ভাইঝি নন্দিনী ও তার স্বামী পবন বিশ্বকর্মা। 

কোনও ডাকাতির ঘটনা নয়। বরং স্ত্রী, ভাড়াটে খুনি ডেকে স্বামীকে শাস্তি দিয়েছেন। ধৃত স্ত্রী আয়েষা জেরায় জানিয়েছেন, তার স্বামী বিয়ের পর থেকেই অগুনতি তরুণীকে নার্সের চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ধর্ষণ করেছে। এমনকী তার লালসার শিকার হতে হয় ভাইঝি নন্দিনীকেও। সেই কথা কানে আসতেই সহ্যের বাঁধ ভাঙে আয়েষার। নিয়ে ফেলে ইন্দ্রিয়পরায়ণ, কামুক স্বামীকে শাস্তি দিতে তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত। সে কারণেই ভাইঝি ও তার স্বামীর সঙ্গে পরিকল্পনা করে রাজেন্দ্র মালব্য ও ধীরাজ নামে দুই গুন্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তবে সুপারি কিলাররা যে তাঁর স্বামীকে মেরেই ফেলবে, তা বুঝতে পারেনি আয়েষা। পরে তদন্তকারীদের কাছে নন্দিনীর স্বামী পবন স্বীকার করে, আয়েষাকে না জানিয়েই লম্পট ডাক্তারকে খুন করার ভাবনা তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। নিজের স্ত্রীর সর্বনাশকারীকে পৃথিবীতে থাকতে দেওয়ার কোনও অর্থই খুঁজে পায়নি পবন। 

অতএব, তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে দুই সুপারি কিলার অর্থাৎ 'আসল' খুনিরা এখনও পলাতক।