শৌচাগারেই রাখা আছে বাসন, শোকজের নির্দেশ অঙ্গনওয়াড়ির সহায়িকাকে


ঝাঁ চকচকে শৌচাগার। অথচ ভিতরে নজর দিতেই দেখা যায় উপু়ড় করা রয়েছে রান্নার হাতা, খুন্তি, কড়াই। কাটোয়ার ঘোড়ানাশের এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এমন হাল দেখে ক্ষুব্ধ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। শো-কজ করা হয়েছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকাকে।

মঙ্গলবার ঘোড়ানাশের ১/১৬ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান কাটোয়া ২-এর বিডিও শিবাশিস সরকার। অঙ্গনওয়াড়িটিতে সেখানে ঘরের বা খাবারের কোনও সমস্যা না থাকলেও বাসনপত্র শৌচাগারে ডাঁই করে রাখা নিয়ে ক্ষোভ জানান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই বিডিও ওই কেন্দ্রের দুই সহায়িকা ডলি চক্রবর্তী ও রাঁধুনি বাণী চক্রবর্তীকে কৈফিয়ত তলব করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খাবারের মান, পঠনপাঠন, পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলো পরিদর্শনের জন্য কয়েকদিন ধরেই মকুমার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আচমকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। বিডিও বিষয়টি তৎক্ষনাৎ মহকুমাশাসককে জানান। 

বৃহস্পতিবার ওই দু'জনকে ডেকে পাঠান মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। দু'জনকেই শোকজ করে সাত দিনের মধ্যে কারণ জানাতে বলা হয়েছে।

যদিও ডলি দেবীর দাবি, ''শৌচাগারটি নতুন। এখনও ব্যবহৃত হয়নি। তাই তাতে বাসনপত্র রাখতে অসুবিধা নেই।'' স্থানীয় বাসিন্দারা যদিও দাবি করেছেন, ওই শৌচাগারটি ব্যবহার করা হয়।