ঢাকার রাজপথে উলঙ্গ ‘ধর্ষক’-কে ধরে গণপ্রহার জনতার


ঢাকা: রাতের অন্ধকারে এক তরুণীকে গাড়িতে জোর করে তুলে ধর্ষণ করার ঘটনায় স্তম্ভিত ঢাকাবাসী৷ উন্মত্ত জনতার হাতে গাড়ি চালক এবং আরও এক যুবককে উলঙ্গ অবস্থা ধরে গণপিটুনি খেয়েছেন৷ অভিযুক্ত একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ ধৃতের নাম রনি হক৷ ঘটনা শেরেবাংলা নগরের৷

শনিবার রাতের এই ঘটনা রবিবার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷ বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গিয়েছে দুই উলঙ্গ যুবককে মারধর করছেন পথচারীরা৷ একসময় পালিয়ে যায় গাড়ি চালক৷ আর রনিকে পুলিসের হাতে তুলে দেন সবাই৷ অভিযুক্ত ব্যবসায়ী রনি হক বিত্তশালী পরিবারের সদস্য এবং দুই সন্তানের বাবা। পথচারীরা জানান, স্থানীয় কলেজ গেট সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ভিতরে এক তরুণীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল রনি।
কয়েকজন মিলে রনির গাড়ি আটকে দেন৷ তখন তারা দেখতে পান গাড়ির পেছনের আসনে রনি এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। পরে জনতা গাড়ির ভেতর থেকে আক্রান্ত তরুণী, অভিযুক্ত মদ্যপ তরুণ ও গাড়িচালককে বের করে আনে।

তরুণীর অভিযোগ, তাকে রাস্তা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এর পর জনতা ওই তরুণ ও গাড়িচালককে মারধর শুরু করে৷ গভীর রাতেই সেই ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল সাইটে৷ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রফি আহমেদ৷ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, 'আমি গাড়িটির কাছে যেতেই দেখি ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে।

গাড়ির দরজা খুলে প্রথমে আমরা মেয়েটিকে বাইরে বের করে নিয়ে আসি, পরে অপর পাশের দরজা খুলতেই দেখি অতি পরিচিত সেই ছেলেটি অর্থাৎ বড়লোক বাবার বখে যাওয়া নষ্ট সন্তান। ছেলেটিকে বাইরে বের করতে গিয়ে সহ্য করতে হয়েছে বাজে মদের গন্ধ। আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। অতঃপর বসিয়ে দিলাম ওই জানোয়ারের কানের নিচে আমার বাম হাতের পাঁচ আঙুলের চিহ্ন। এর পর ক্ষুব্ধ জনতা চিলের মতো করে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাকি দায়িত্ব পালন করল।'