বিমান দুর্ঘটনা এড়ানো যেত, সম্পূর্ণ দায় বিমান সংস্থারই, দাবি মৃত পাইলটের স্বামীর


মুম্বই:  বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে নির্মীয়মান বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে একটি চ্যাটার্ড বিমান। ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচজনের। নির্মীয়মান বাড়ির ওপর ভেঙে পড়েছে বিমানটি তাই মৃতের সংখ্যা কম। কোনওভাবে বিমানটি যদি কাছের একটি স্কুলের ওপর ভেঙে পড়ত, তাহলে দুর্ঘটনার জেরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত, মত দুর্ঘটনায় মৃত বিমানের পাইলটের স্বামী পি.কুথারিয়ার। তিনিও পেশায় পাইলট। তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রী ক্যাপ্টেন মারিয়া জুবেরি এবং ক্যাপ্টেন প্রদীপ.এস.রাজপুতের তৎপরতায় কাছের স্কুলের ওপর কোনওমতে ভেঙে পড়েনি বিমানটি।

এমনকি বিমানটি যখন জনবহুল ঘাটকোপার এলাকার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেখানেও ভেঙে পড়া থেকে কোনও মতে বাঁচিয়েছেন ১২ আসন বিশিষ্ট বিচক্রাফ্ট কিং এয়ার সি-৯০-র পাইলটরা। সেখানে একাধিক বহুতলও রয়েছে।

বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ রয়েছে বুঝতে পেরেই জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানের পাইলট। কিন্তু অবতরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে।

এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুর্গটনাগ্রস্থ বিমানের পাইলটের স্বামী বলেন, পুরো দুর্ঘটনার জন্যে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাই দায়ি। কারণ, বিমানটি ওড়ানোর আগে মৃত পাইলট তাঁর স্বামীকে বলেছিলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটিকে ওড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু তারপরও বিমানটিকে ওড়ানোয় ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত, যদি নির্মীয়মান বাড়ির শ্রমিকরা সেই সময় দুপুরের খাবার খেতে না যেত। তবে বিমানের পাইলটরা নিজেদের জীবনের বিনিময় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে সকলকে। বিমানের দুজন চালক ছাড়াও সেখানে ছিলেন এয়ারক্রাফ্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার সুরভি, যিনি ছিলেন দুমাসের অন্তঃসত্ত্বা। এছাড়া ছিলেন জুনিয়র টেকনিশিয়ান মনীষ পাণ্ডে।