জোর করে গর্ভপাত! 'দাবাড়ু প্রেমিকের' মায়ের হাতে নিগৃহীতা যুবতী


বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সহবাসের পর প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ উঠল রাজ্যস্তরের এক দাবাড়ুর বিরুদ্ধে। গড়িয়ার শ্রীনগরের বাসিন্দা ওই তরুণীর আরও অভিযোগ, সম্পর্কের জেরে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে জোর করে তাঁর গর্ভপাতও করানো হয়। এমনকি বিয়ের কথা বলায় চলে মারধরও।

গড়িয়া-শ্রীনগরের বাসিন্দা ওই তরুণী জানিয়েছেন, কলেজের বাইরে একদিন ওই দাবাড়ুর সঙ্গে দেখা হয়। আলাপের পর তখনই দুজনের মধ্যে ফোন নাম্বার আদানপ্রদান হয়। এরপর থেকে মাঝেমধ্যেই ওই দাবাড়ুর সঙ্গে ফোনে কথা হতে থাকে তাঁর। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ আরও বাড়ে। গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজনে।

ওই যুবতি জানিয়েছেন, ওই দাবাড়ুর সঙ্গে তাঁর প্রায় ৪ বছরের সম্পর্ক। এই সময়ের মধ্যে বহুবারই তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত দাবাড়ু। সেখানেই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই তাঁর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হয়েছিল ওই দাবাড়ু।

কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের জেরে এরপর তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁর 'প্রেমিক' দাবাড়ু বেঁকে বসে বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। আরও অভিযোগ, জোর করে গর্ভপাত করানো হয় তাঁর। আর এই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে অভিযুক্ত। তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে।

এমনকি ওই দাবাড়ুর খোঁজে তার বাড়িতে গেলে অভিযুক্তের মা ও দিদি তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ তরুণীর। নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিস। যদিও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দাবাড়ুর খোঁজ মেলেনি।