শুভেন্দুর ব্যাঙ্কে স্থায়ী চাকরি ছত্রধর-পুত্রের


মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতোই স্থায়ী চাকরি পেলেন জনসাধারণ কমিটির সাজাপ্রাপ্ত জেলবন্দি নেতা ছত্রধর মাহাতোর বড় ছেলে ধৃতিপ্রসাদ মাহাতো। বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের লালগড় শাখায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে শুক্রবার জুনের পয়লা তারিখ কাজে যোগ দিয়েছেন ধৃতি। বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''ছত্রধরের ছেলেকে আমরাই চাকরি দিয়েছি। ও আবেদন করেছিল। ৬টি পদ ফাঁকা ছিল। বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সে আলোচনা করেই ওকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।''

জেলবন্দি ছত্রধরের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে বছর দেড়েক আগে ধৃতিকে লালগড় নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে ঠিকাদারের অধীনে অস্থায়ী কর্মীর কাজ দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজে নিয়মিত মজুরি মিলছিল না। তাই স্থায়ী চাকরি পেয়ে খুশি ধৃতি। শনিবার তিনি বলেন, ''স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।''

এ বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ছত্রধরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তির সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কিন্তু নিয়তি ও তাঁর দুই ছেলে গ্রামে ছিলেন না। পরে তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা নেতৃত্ব নিয়তি ও তাঁর দুই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে দলের এক সূত্রের খবর। এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে নিয়তিকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, স্থায়ী কাজের বন্দোবস্ত করা হবে। ছত্রধরের মুক্তির ব্যাপারেও উদ্যোগী হবে রাজ্য। ভোটের আগে তৃণমূলের মিছিলে হেঁটেছিলেন নিয়তি। এ দিন বলেন, ''ছেলের স্থায়ী কাজে স্বস্তি পেলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। উনি কথা রেখেছেন। স্বামী জেল থেকে ছাড়া পেলে আরও খুশি হব।'' তিনি জানান, ৯ বছর জেলবন্দি ছত্রধরের জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। গ্রীষ্মাবকাশের পরে হাইকোর্ট খুললে শুনানি হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নিয়তি।