মৃত্যু প্রসূতির! গাফিলতি নাকি স্যালাইনের বোতল বদলানোর কেউ নেই হাসপাতালে ?


সিউড়ি: মৃত সন্তান প্রসব করার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল এক মহিলার। কিন্তু, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের দাবি, রাতে স্যালাইনের বোতলটা পর্যন্ত বদলে দেওয়া হয়নি। চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুতে অভিযোগে ধুন্ধুমার কাণ্ড বীরভূমের সিউড়ি সদর হাসপাতালে। বুধবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভের ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকেরা। সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের মারধর করেন অভিযোগ। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার।

মঙ্গলবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সাঁইথিয়ার বাসিন্দা আরতি বসাক। কিন্তু, তাঁর সন্তানকে  বাঁচানো যায়নি। পরিবারের লোকেদের দাবি, মৃত সন্তান প্রসব করেছিলেন আরতি। সন্তান প্রসবের পর তাঁর শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। রাতে যখন আরতি বসাকের শারীরিক অবস্থা রীতিমতো সংকটজনক, তখন তাঁকে দেখার জন্য কেউ ছিল না বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, রাতে স্যালাইনের বোতলটিও শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, বোতল পালটে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে থাকতে দেওয়া হয়নি বাড়ির কাউকেও। রাতভর সিউড়ি সদর হাসপাতাল চত্বরেই ছিলেন আরতি বসাকের পরিবারের লোকেরা।

আরতি বসাকের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সকালে রোগীকে দেখতে চাইলে, হাসপাতালের গেট খুলতে অস্বীকার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে তাঁদের জানানো হয়, আরতি বসাক মারা গিয়েছেন। চিকিৎসায় গাফিলতির সিউড়ি সদর হাসপাতালে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকেরা। সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে, রোগীর পরিবারের নিরাপত্তারক্ষীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সিউড়ি হাসপাতালের সুপার।