বন্যা রুখতে ৩৫০কোটির প্রকল্প!


হাওড়ায় বন্যা রুখতে ৩৫০কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হবে। এছাড়াও হাওড়া জেলা সংশোধনাগারের জায়গায় হবে হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৈটকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ভোট থাকবে। নির্বাচনী কাজে কর্তাব্যক্তিরা যুক্ত থাকবেন। কিন্তু কোনওমতেই উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিষেবা যাতে থেমে না যায়, তা সবাইকে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রশাসনিক বৈঠকে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবছরই ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। এছাড়াও বর্ষাকালে মুণ্ডেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়ণে জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। এইসব এলাকায় কীভাবে বন্যা প্রতিরোধ করা যয় তা সমীক্ষা করে দেখার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েদেন, হাওড়ার আমতায় বন্যাপ্রবণ এলাকায় স্থায়ী বাঁধ তৈরি করবে পূর্ত দফতর অথবা সেচ দফতর। হাওড়ায় বন্যা রুখতে ৩৫০কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাওড়া সংশোধনাগার সরিয়ে সেখানে হাসপাতাল তৈরি করা হবে। উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির কাজ কতটা এগিয়েছে, তা নিয়েও খোঁজখবর করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ার পুর পরিষেবাকে আরও ভাল করার নির্দেশ দেন।

এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে বাগনানে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা সহসিন খানকে। জেলায় বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন, হাওড়া জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জেলার দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্ল, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী, দলীয় সব বিধায়ক, বিডিও ও থানার ওসিরা। ছিলেন মুখ্যসচিব, ডিজিও।