বিশপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সন্ন্যাসিনীর


ধর্ষণ এবং দীর্ঘ চার বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে তাঁর উপরে যৌন হেনস্থা করেছেন বিশপ, এমন অভিযোগই দায়ের করলেন কেরলের এক চার্চের সন্ন্যাসিনী। যদিও তা উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা ব্ল্যাকমেল এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত বিশপও।

কেরলের কোট্টায়ামের সাইরো-মালাবার ক্যাথলিক চার্চের ঘটনা। শুক্রবার কোট্টায়াম পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সন্ন্যাসিনী। তার পরই পাল্টা অভিযোগ করেন অভিযুক্ত বিশপও।

জালন্ধরের রোমান ক্যাথলিক ডায়সেসের অধীন ওই চার্চটি। ওই চার্চের সন্ন্যাসিনীর অভিযোগ, ২০১৪ সালে মে মাসে কুরাভিলাঙ্গারের একটি গেস্ট হাউসে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই বিশপ। তিনি চার্চ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগও জানান। কিন্তু তাঁর অভিযোগকে এতটুকু আমল দেননি চার্চ কর্তৃপক্ষ। তার পর বিভিন্ন সময়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করতে শুরু করেন বিশপ। সব মিলিয়ে মোট ১৩ বার তাঁকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, চার্চ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনওরকম সাহায্যের আশ্বাস না পেয়েই তিনি এত দিন পর পুলিশে অভিযোগ করেন, জানান সন্ন্যাসিনী।

পুলিশের কাছে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বিশপও। পুলিশকে তিনি জানান, এ সবই ওই সন্ন্যাসিনী বদলা নেওয়ার জন্য করেছেন। কারণ, সম্প্রতি বেশ কিছু কারণে ওই সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। তাঁকে অন্যত্র বদলির নির্দেশও দিয়েছেন। এর পর থেকেই তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছিলেন সন্ন্যাসিনী এবং তাঁর পরিবার, অভিযোগ বিশপের।

কোট্টায়ামের পুলিশ সুপার হরিশঙ্কর জানান, দু'জনের কাছ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে ওই চার্চের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।