ধর্মান্তরণ করে বিয়ে, ভাই -বাবা - বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ করাতো স্বামী, হিন্দু ধর্মে ফিরলেন তরুণী


অভিযোগ, ২০০ টাকার বিনিময়ে বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করাত ইউসুফ। অবশেষে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তবে পুলিস এখনো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে খবর।


উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে 'লভ জিহাদ'-এর শিকার এক তরুণীকে ফেরানো হল হিন্দু ধর্মে। এক ভিনধর্মী যুবক ওই তরুণীকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেছিল বলে অভিযোগ। হোম যজ্ঞের মাধ্যমে ফের সেই তরুণীকে হিন্দুধর্মে ফেরানো হয়েছে বলে খবর। 

আলিগড় সিভিল লাইন থানা এলাকায় ২০০৮ সালে এই ধর্মান্তরনের ঘটনা ঘটে। ইউসুফ নামে এক যুবক নিজের নাম ও ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলে। নিজেকে কবীর চৌহান বলে পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীকে বিয়ে করে সে। বিয়ের দেড় বছর পর দম্পতির এক সন্তানও হয়। এর পরই ধর্মান্তরণের জন্য ওই তরুণীকে চাপ দিতে থাকে ইউসুফ। এমনকী ইউসুফের দাদার সঙ্গে জোর করে নিকাহ হালালা করতে বাধ্য করা হয় তরুণীকে। মানতে রাজি না হলে চরম শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয় সেই তরুণীকে। 

দাদার সঙ্গে হালালা করানোর পর ফের ওই তরুণীকে বিয়ে করেন ইউসুফ। অভিযোগ, এর পর শ্বশুর-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হত ওই তরুণীকে। বারবার ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাঁকে। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে না-চাইলে ধর্ষণের ভিডিয়ো তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত ইউসুফ।

অভিযোগ, ২০০ টাকার বিনিময়ে বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করাত ইউসুফ। অবশেষে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তবে পুলিস এখনো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে খবর। 

শনিবার হিন্দু মহাসভার রাষ্ট্রীয় সচিব পূজা শকুন পাণ্ডের পৌরহিত্যে নির্যাতিতাকে ফের হিন্দু ধর্মে ফেরানো হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন আলিগড় শহরের পুলিস সুপার অতুলকুমার শ্রীবাস্তব।