চেক দিলেই মিলবে লটারির ৩৫ লক্ষ টাকা!

প্রতারকের খপ্পরে ৩৫ হাজার টাকা খোয়ালেন কলেজ ছাত্রী


চুঁচুড়া: চেক পাঠালেই মিলবে বড় অঙ্কের লটারির টাকা। লোভে পড়ে প্রথমে ৩৫ হাজার টাকা দিয়েও দেন বর্ষা দেবনাথ নামে প্রথম বর্ষের এক কলেজ ছাত্রী। এর মধ্যে ছিল কন্যাশ্রী প্রকল্পে পাওয়া ২৫ হাজার টাকাও। কিন্তু লটারির টাকা আসেনি। উল্টে আরও ৪৫ হাজার টাকা চাইতে এবার সন্দেহ হয় ওই ছাত্রীর। বুঝতে পারেন প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। এরপরেই চুঁচুড়া থানায় প্রতারকের ফোন নম্বর দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। 
বিশাল অঙ্কের টাকা পাওয়ার লোভে পড়ে কন্যাশ্রীর ২৫০০০ টাকা সহ মোট ৩৫ হাজার ২০০ টাকা খোয়ালেন বর্ষা দেবনাথ নামে কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। তিনি চুঁচুড়া থানার ২নং কাপাসডাঙার বাসিন্দা। ৩৫ হাজার ২০০ টাকা দেওয়ার পর, লটারির চেক পাওয়ার জন্য এদিন ফের ৪৫ হাজার টাকা দাবি করার পরেই ওই ছাত্রী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই চুঁচুড়া থানায় গিয়ে যে নম্বর থেকে প্রতারকদের ফোন এসেছিল ও যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছে সেই নম্বর দিয়ে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিস ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ মে রাতে বর্ষা দেবনাথের মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ আসে। কেবিসি কৌন বনেগা ক্রোড়পতি নামক সংস্থা থেকে ওই ম্যাসেজ পাঠানো হয়। মেসেজে বলা হয় বর্ষা লটারিতে ৩৫লক্ষ টাকা জিতেছে। বর্ষা জানায়, বলা হয় টাকা পাওয়ার জন্য প্রসেসিং ফি হিসাবে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিক সানি কুমারের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার ২০০ টাকা জমা করতে হবে। তারপরেই আবার আর একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে ট্যাক্স বাবদ ২৫ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়। ৩৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার আশায় সদ্য কন্যাশ্রী প্রকল্পে পাওয়া ২৫ হাজার টাকা ও বাবাকে বলে আরও ১০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে জমা করেন বর্ষা। কিন্তু তারপর লটারির টাকা পেতে আরও ৪৫ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়। তখনই বর্ষা ও তার পরিবার বুঝতে পারে, তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বর্ষার বাবা পেশায় বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী গাড়ীচালক মৃণালকান্তি দেবনাথ বলেন, লটারিতে টাকা লেগেছে বলে মেয়ে কন্যাশ্রীর পাওয়া টাকা তুলে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে জমা করে। মেয়ের জেদে পড়ে পরে আরও ১০ হাজার টাকা আমি এক সহকর্মীর কাছ থেকে ধার করে এনে দিই। কি করে ধারের অতগুলো টাকা শোধ করব বুঝতে পারছি না। আমরা চাই, পুলিস ঘটনার তদন্ত করে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।