ভক্ত সেজে সলমনকে খুনের চক্রান্ত ফাঁস


গুরুগ্রাম: ব্ল্যাকবাক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সলমন খানকে খুনের ছক কষে বিশনই সম্প্রদায়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনই। গুরুগ্রামের এসটিএফ হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে লরেন্সের সহযোগী সম্পত নেহরাকে। সে-ই এসটিএফকে জানিয়েছে, তারা সলমনকে হত্যার ছক কষেছিল।

সম্পত ধোয়া তুলসিপাতা নয়, তার বিরুদ্ধে খানচব্বিশেরও বেশি খুন, খুনের চেষ্টা ও তোলা আদায়ের মামলা রয়েছে। এসটিএফ জানিয়েছে, সম্পত তাদের কাছে স্বীকার করেছে, সলমন খানকে খুনের জন্য মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২ দিন তাঁর বাড়ির বাইরে রেইকি করে সে। যাতে কোনওভাবেই ছক বানচাল না হয় তা নিশ্চিত করতে সলমনের আসা যাওয়ার সময় ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজখবর জোগাড় করে।

সম্পতের ছক ছিল, সলমন যখন নিজের বাড়ির বারান্দার দাঁড়িয়ে ফ্যানদের দেখা দেন, সে সময় সেও ফ্যান সেজে ঢুকে যাবে ভিড়ের মধ্যে। ফ্যানদের সঙ্গে সলমনের কতটা দূরত্ব থাকে ও কী অস্ত্র দিয়ে তাঁকে মারা যাবে, তাও হিসেব নিকেশ করে সে। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই এসটিএফের হাতে সম্পত ধরা পড়ে যায়।

কালো হরিণ শিকারে অভিযুক্ত সলমনকে অনেক দিন আগেই খুনের হুমকি দিয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিশনই। বিশনই সম্প্রদায় কালো হরিণকে পুজো অর্চনা করে, সলমনের বিরুদ্ধে সেই হরিণ খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকে লরেন্স তাঁর ওপর খড়গহস্ত। সম্পত নেহরা গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় সলমন হত্যার ছক আপাতত বানচাল হয়ে গেল ঠিকই কিন্তু গোটা পরিকল্পনায় আর কে কে জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।

এসটিএফ জানতে পেরেছে, জেলবন্দি অবস্থাতেই লরেন্স বিশনই সলমনকে খুনের ছক কষে। দায়িত্ব দেওয়া হয় সম্পতকে। সম্পতের পড়াশোনা চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে, ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকে লরেন্সের সঙ্গে তার সম্পর্ক। ২০১৬-য় গাড়ি চুরি কাণ্ডে তার জেল হয়, তখন থেকে সে যোগ দেয় বিশনই গ্যাংয়ে।