মিসড কল দিয়ে শুরু রোম্যান্স, সেই স্ত্রীকেই ৭ টুকরো করল ইঞ্জিনিয়ার


ধৃত সাজিদ।

গত ২১ জুন দক্ষিণ দিল্লির এক পরিত্যক্ত এলাকায় একটি কার্ডবোর্ডের বাক্সে মেলে এক মহিলার শরীরের সাতটি টুকরো। সেই ঘটনার রহস্যোদ্ঘাটন করল পুলিশ। স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল ইঞ্জিনিয়ার স্বামী ও তার দুই ভাইকে। 

বাক্সটির উপর লাগানো একটি স্টিকার থেকে জানা যায়, গুরগাঁওয়ের একটি শিপিং কোম্পানির। কোম্পানির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জাভেদ আখতার নামে একজনকে ডেলিভারির জন্য ওই বাক্সগুলি আনা হয়েছিল। জাভেদ আখতার পুলিশকে জানায়, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ আলি আনসারি নামে এক ব্যক্তির ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে ওই বাক্স রাখা ছিল। ওই ফ্ল্যাট তালাবন্ধ থাকলেও সাজিদকে জামিয়া নগর এলাকা থেকে আটক করা হয়। পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সাজিদ। জানায়, দুই ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে স্ত্রী জুহিকে সে-ই খুন করেছে। বিবাহবহির্ভুত একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছে সাজিদ।

২০১০ সালে অদ্ভুতভাবে আলাপ হয় ছাপড়ার বাসিন্দা সাজিদ ও জুহির। ভুল করে জুহির নম্বরে ফোন করে ফেলেছিল সাজিদ। সেই মিসড কল থেকে কথাবার্তা শুরু। পরিবারের অমতেই ২০১৪ সালে সাজিদকে বিয়ে করেন জুহি। বছর দুই আগে তাঁরা দিল্লি গিয়ে বসবাস শুরু করেন। দুটি মেয়েও আছে তাঁদের। একজনের বয়স ২, আর একজনের ১। 
পুলিশ জানিয়েছে, সাজিদ কোনও চাকরি না-পাওয়ায় তারা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। বচসাও বাঁধত নানা কারণে। এদিকে, মাস কয়েক আগে থেকে সাজিদের সঙ্গে অন্য এক মহিলার সম্পর্ক তৈরি হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। জুহির হাত থেকে সে রেহাই পেতে চাইছিল। 

এই অবস্থায় ২০ জুন সাজিদ ও জুহির মধ্যে ঝগড়া বাঁধলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাজিদ। এরপর জুহির মুখটা যাতে চেনা না-যায় সে জন্য নষ্ট করে দিয়ে দেহটা সাত টুকরো করে সে। এই কাজে তাকে সাহায্য করে তার ২৮ বছরের ভাই ইশতেয়াক আলম। এরপর দুইভাই তাদের দাদা হাসমত আলি আনসারিকে সঙ্গে নিয়ে দেহের টুকরোগুলি বাক্সে ভরে এবং দূরের একটি জঙ্গলের ধারে ফেলে আসে। পরের দিনই বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে বলে প্রতিবেশীকে জানায় সাজিদ।