প্রেমে বাধা দেওয়ায় ভাগ্নির প্রেমিকের হাতে আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার


হুগলি: ভাগ্নির প্রেমিকের হাতে আক্রান্ত হলেন পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার মামা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরের। অভিযোগ, ডিউটি থেকে ফেরার পথে ভাগ্নির প্রেমিক বিদ্যুৎ গড়াং আক্রমণ করে সিভিক ভলান্টিয়ার বৈদ্যনাথ মালিককে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেপরোয়া মারধর করা হয় আক্রান্তকে। ঘটনায় গুরুতর জখম বৈদ্যনাথ তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত প্রেমিক বিদ্যুৎ গড়াংকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বৈদ্যনাথের ভাগ্নির সঙ্গে অভিযুক্তের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় প্রতিহিংসাবশতই এমন কাজ বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত। প্রেমের সম্পর্ক সত্ত্বেও মামা লুকিয়ে তাঁর ভাগ্নির বিয়ের ব্যবস্থা করছে বলে জানতে পারে বিদ্যুৎ। প্রেমিকার থেকে আলাদা করে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা মানতে না পেরে বৈদ্যনাথ মালিকের উপর চড়াও হয় সে। গতকাল রাতে থানার ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফিরছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার বৈদ্যনাথ মালিক। সেই সময় তারকেশ্বরের তেঘরিয়া মোড়ের কাছে অতর্কিতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্ত। আর্তনাদ শুনে আশপাশের লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আহত বৈদ্যনাথ মালিককে । গুরুতর জখম অবস্থায় তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আহত ঐ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে।

গতকাল রাতেই প্রথম নয়। এর আগে ১৯ মে তারিখেও বৈদ্যনাথ মালিককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সেবার চ্যালা কাঠ দিয়ে প্রেমিকার মামার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল বিদ্যুৎ । সেবার স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তকে। বৈদ্যনাথবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই তখন গ্রেফতার করে পুলিশ। মারধরের অভিযোগে জেল হয় তার। সোমবার বিকেলে ছাড়া পেয়েই ফের রাতে প্রেমিকার মামা বৈদ্যনাথের উপর হামলা চালায় বিদ্যুৎ।