মানসিক ভারসাম্যহীন বোনের মুণ্ডচ্ছেদ করল দাদা


আলিপুরদুয়ার: মুণ্ডচ্ছেদ করে নিজের বোনকে খুন করল দাদা। মঙ্গলবার সকালে আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের উত্তর পানিয়ালগুড়ি গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত সঞ্জয় সেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা দাঁ ও খুনে ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে গোটা এলাকা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সাবিত্রী সেন (২৪)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। অভিযুক্ত সঞ্জয় সেনও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। সাবিত্রীদেবীরা পাঁচ ভাই-দুই বোন। বিয়ে হওয়ার পর অন্য ভাইরা একই গ্রামে পৃথক বাড়িতে থাকলেও শুধু সাবিত্রীদেবী ও সঞ্জয় উত্তর পানিয়ালগুড়ি গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। বাবা নরেশ সেন কৃষিকাজ করেন। মা শয্যাশায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ওই বাড়ি থেকে ভাইবোনের চিৎকার শোনা গিয়েছিল। বিষয়টি নিত্যকার ভেবে প্রতিবেশীরা আর পাত্তা দেয়নি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জয়কে দেখা গেলেও সাবিত্রীদেবীকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ওই বাড়িতে ঢুকে সাবিত্রীর খোঁজ করেন। তখন রান্নাঘরের পিছন থেকে সাবিত্রীদেবীর মুণ্ডহীন দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় শামুকতলা থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যখন প্রতিবেশীরা সাবিত্রীদেবীর বাড়িতে ঢুকেছিলেন, সে সময়ে রান্নাঘরের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল সঞ্জয়। অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্যহীন দুই ভাইবোনের মধ্যে প্রায়ই মারপিট হত। বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর হত। মঙ্গলবার ভোরেও সেরকমই হচ্ছিল। তাই বিষয়টিতে আমল দেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, "অভিযুক্ত সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের মামলা ঋজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।"