সেই বেপরোয় গতি! কান্নায় বদলে গেল ইদের আনন্দ


বেপরোয়া বাইক চালাতে গিয়ে মৃ্ত্যু হল মহম্মদ হাসানের

বাইক একটি, সওয়ারি তিন। কারও মাথায় হেলমেট নেই। তার উপর বেপরোয়া গতি! এ ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইক চালাতে গিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। সওয়ারি দুই বন্ধু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার রাতে পার্ক সার্কাস চার নম্বর সেতুর কাছে ঘটনাটি ঘটেছে।

ইদের উৎসবের মধ্যে তিন বন্ধুর এমন পরিণতিতে শোকের পরিবেশ তিলজলা এলাকায়। বেপরোয় গতির জেরে ইদের আনন্দ বদলে গেল কান্নায় ! পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ হাসান (১৮)। তার সঙ্গে বাইকে ছিল মহম্মদ ফৈজান ও মহম্মদ রমজান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকটি দ্রতগতিতে চার নম্বর সেতুর দিকে যাচ্ছিল। তিন জন একটি বাইকে থাকলেও, কারও মাথায় হেলমেট ছিল না।

ওই এলাকায় 'মা' উড়ালপুলের কাজ চলার জন্য এমনিতেই রাস্তার অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তার উপর বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহম্মদ হাসানের। অন্য দুই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন জনেরই বাড়ি তিলজলা এলাকায়। রমজানের বয়স ১৮ বছর, ফৈজানের ১৯। ফয়জান এ বছর মাধ্যমিক পাশ করেছে। বাকি দু'জন জুতো কারখানার শ্রমিক ছিল।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই রাস্তার বেহাল দশা। চার নম্বর ব্রিজের কাছে আরও খারাপ অবস্থা। বহু বার বলেও রাস্তার হাল ফেরেনি বলে অভিযোগ। রাজ্য জুড়ে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ'-এর প্রচার চলে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বাইক চালানোর সময় হেলমেট পরার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা চলছে। এমনকি, হেলমেট ছাড়া পেট্রল পাম্পে তেলও মিলছে না। তবুই হুঁশ ফিরছে না বাইক আরোহীদের।