সুইস ব্যাঙ্কে বাড়ছে ভারতীয়দের আমানত, এ নিয়ে কী বললেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী


শুক্রবারই সুইস ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল ২০১৭ সালে তাদের ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুইস ব্যাঙ্ক থেকে কালো টাকা উদ্ধার করবেন। কাজেই এই তথ্য নিয়ে সরকারকে বিধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এবার সরকারের পক্ষে ব্যাট ধরলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি। তাঁর যুক্তি সুইস ব্যাঙ্কে রাখা সব টাকাই কালো টাকা নয়।

জেটলি বলেন, ভারতের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের তথ্য জানানোর যে চুক্তি হয়েছে তারপর সুইস ব্যাঙ্কে কালো টাকা রাখা সম্ভব নয়। শুক্রবার ব্লগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লেখেন, 'কর ফাঁকি দেওয়ার স্বর্গ হিসেবে তাদের প্রচলিত ছবিটা বদলাতে চাইছে সুইজারল্যান্ড। কদিনের মধ্যেই তারা রিয়েল টাইম ডিসক্লোজার চালু করতে চলেছে। কাজেই যারা কর ফাঁকি দিতে চায়, তাদের জন্য এই জায়গাটি আর বিশেষ সুবিধের নয়।' তাঁর দাবি বিরোধীরা সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি বিষয়ে অযথাই হইচই করছে। তিনি আরও যুক্তি দেন ভারতের সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের কালো টাকার রিমাণ বাড়লে ভারতে রেকর্ড পরিমাণ ইনকাম ট্যাক্স সংগ্রহ বাড়ত না।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অবশ্য স্বীকার করে নেন, সুইজারল্যান্ড বরাবরই অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিল। কিন্তু ইদানীং আন্তর্জাতিক চাপে তারা সেই অবস্থান বদলেছে। তিনি বলেন, 'কোনও দেশের অনুরোধের ভিত্তিতে তথ্য় আদান প্রদানের ব্যাপারে দেশটি একধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে। সেদেশের আইন সংশোধন করা হয়েছে। এমনকী, ভারতের সঙ্গেও এরকম একটি চুক্তি হয়েছে। আগামী দিনে তারা রিয়েল টাইমে ভারতীয়দের সম্পর্কে তথ্য পাঠাবে।' ২০১৯-এর জানুয়ারি থেকেই এই তথ্য পাটানো শুরু হয়ে যাবে বলে দাবি করেন জেটলি।

তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন রেল মন্ত্রী পিযুশ গোয়ালও। অরুণ জেটলি অনুপস্থিতিতে তিনিই অর্থমন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলান। তিনি বলেন, 'জমা হওয়া সব অর্থই আমানতকারীরা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে রেখেছেন বা সুইজারল্যান্ডের অবৈধ আমানতকারীদের স্বর্গরাজ্য এই ধারণাটা ঠিক নয়। কয়েক দশক আগে এসব ঘটত।'