খুন করে স্বামীর যৌনাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী


প্রথমে স্বামীকে খুন। তার পর তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে নিলেন স্ত্রী। আর এ কাজে ৪৫ বছরের ওই মহিলাকে সাহায্য করলেন তাঁর ভাইঝি এবং তার স্বামীও।

স্বামীকে খুনের অভিযোগে শনিবার ভোপাল পুলিশ গ্রেফতার করে আয়েশা নামে ওই মহিলাকে। তাঁকে জেরা করেই খুনের বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ।

জব্বলপুরের সুপার শশীকান্ত শুক্ল জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাতে নিজের বাড়িতে খুন হন ৫৫ বছরের চিকিৎসক শাফাতুল্লাহ খান। 

শাফাতুল্লাহের শরীরে একাধিক বার ছুরির আঘাত দেখতে পান তদন্তকারীরা। আঘাতের চিহ্ন ছিল বুক, গলা, কবজিতে। একই সঙ্গে কাটা ছিল চিকিৎসকের যৌনাঙ্গও। ঘরের জিনিস পত্র ছিল তছনছ করা। তদন্তকারীদের ধারণা, বিষয়টি দেখে যাতে মনে হয় চুরির কারণেই খুন, তারই তেষ্টা করা হয়েছিল।

 পুলিশ গ্রেফতার করে শাফাতুল্লাহের স্ত্রীকে। জেরায় স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেন আয়েশা। তিনি জানান, এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেন ভাইঝি ৩০ বছরের নন্দিনী ও তার স্বামী পবন বিশ্বকর্মা (৩৫)। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় প্রত্যেকেই নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন।

কিন্তু, কেন স্বামীকে খুন করলেন আয়েশা?

১৯৯১ সালে আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয় শাফাতুল্লাহের। আয়েশার অভিযোগ, একাধিক মহিলার সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল তাঁর স্বামীর। এমনকী, চাকরি দেওয়ার নাম করে শাফাতুল্লাহ বেশ কয়েক জন মহিলাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। এমনকী, তার লালসার শিকার হতে হয়েছিল নন্দিনীকেও। আর সে জন্যই নন্দিনী এবং তাঁর স্বামী এই খুনে সাহায্য করেছেন— দাবি আয়েশার।