সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বড়সড় সিদ্ধান্ত মমতা প্রশাসনের


কলকাতাঃ জমির রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গেই এবার হবে মিউটেশনের সার্টিফিকেট। আর তা করতে উন্নত একটি সফটওয়্যার তৈরি করছে ভূমি রাজস্ব দফতর। আর তা তৈরি হয়ে গেলেই কেল্লাফতে। কারণ রাজ্যের সব রেজিস্ট্রেশন দফতরে জমি রেজিস্ট্রেশনের পর দলিল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক মিউটেশনও হয়ে যাবে। যার ফলে সাধারণ মানুষকে আর দৌড়তে হবে না এই ঘর থেকে অন্য ঘরে।

যদিও এর জন্যে মিউটেশন ফি নেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই এই অটোমেটিক মিউটেশন প্রক্রিয়া চালু হবে। এর ফলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে অনেক জটিলতা কমিয়ে আনতে চলেছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

বাংলা এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, রাজ্যে বর্তমানে ২৯০টি রেজিস্ট্রেশন অফিস রয়েছে। আর বিএলআরও আছে ৩৪৬টি। বর্তমানে জমির রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে সঙ্গে সেই জমির উপরে একটি নম্বর বিএলআরও দপ্তরের অফিসে চলে যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমির দলিল পাওয়ার পরে খুব কম লোকই আছেন যে সঙ্গে সঙ্গে মিউটেশন করান। ফলে সেই জমি বার বার বিক্রি হলেও তার সঠিক রেকর্ড থাকে না। কারণ, মিউটেশন না হওয়ার ফলে পরচা হয় না। পরচাই জমির আসল পরিচয়পত্র বলে ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বাংলা ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।

ওই সরকারি আধিকারিকের মতে, অনেক জমির পরচা না থাকায় পরিষ্কার বোঝা যায়, সেই জমির মালিক মিউটেশন করাননি। দলিল হয়ে যাওয়ার পর আর কেউ তা নিয়ে গা করেন না। এবার সেটা বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে সরকার। এর ফলে জটিলতা অনেক কমে যাবে বলে মনে করেন অফিসাররা।