সোনারপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ধৃত প্রেমিক


বারুইপুর: ছাত্রী আত্মঘাতী ঘটনায় প্রেমিক আরিয়ানকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ধৃতকে মঙ্গলবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে৷

প্রেমিককে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও কল করে আত্মঘাতী হলেন দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী৷ সোনারপুরের বৈদ্যপাড়ার ঘটনা৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্রী৷

মৃতের নাম মৌসুমী মিস্ত্রি৷ সোনারপুর কামরাবাদ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন তিনি৷ মৌসুমীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুরেরই ঘাসিয়াড়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর৷ নাম আরিয়ান৷ রবিবার দুপুরে এক বান্ধবী মোবাইলে ফোন করে মৌসুমীকে৷ বারবার ফোন আসছিল৷ ফোন পেয়ে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে৷ মা বলেছিলেন সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ফিরে আসতে৷ বিকেলের মধ্যেই বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর৷

কিন্তু ফিরতে ফিরতে সাড়ে ছ'টা বেজে যায়৷ ঘরে ফিরে বাড়ির কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলেননি৷ মৌসুমীর মা শম্পা মিস্ত্রী আয়ার কাজ করেন৷ সাড়ে ছ'টা নাগাদ কাজে বেরিয়ে যান শম্পাদেবী৷ বেরোনোর তাড়ায় তাঁরও মেয়ের সঙ্গে তেমন কথা হয়নি৷ মৌসুমীর বাবা ও ভাই অন্য জায়গায় থাকেন৷ বাড়িতে একাই ছিলেন মৌসুমী৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধেয় এলাকায় একটি বিচিত্রানুষ্ঠান ছিল৷ সেখানে মৌসুমী গিয়েছিলেন৷ রাতে ফিরে এসে রোজকার মত খাবার খেয়ে ঘরে শুতে চলে যান৷ প্রতিদিন সকাল আটটার মধ্যে তিনি উঠে পড়েন৷ কিন্তু সোমবার সময় পার হয়ে গেলেও দরজা খোলেননি দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী৷ তাতেই সন্দেহ হয় বাড়ির লোকজনের৷

অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারেন বাড়ির লোক৷ দেখেন, কড়িকাঠের সঙ্গে হলুদ কাপড়ে ফাঁস লাগিয়ে তাঁর দেহ ঝুলছে৷ এরপর কোনওভাবে দরজা খুলে উদ্ধার করা হয় মৌসুমীর দেহ৷ ততক্ষণে অবশ্য সবই শেষ৷

কেন এই ঘটনা তা নিয়ে ধন্দে প্রথমেই ওই ছাত্রীর মোবাইলটি ঘেঁটে দেখা হয়৷ সেখানেই দেখা যায় মেসেঞ্জারে তখনও আত্মহত্যার ভিডিওটি রয়েছে৷ তার আগে ফোনে দীর্ঘক্ষণ আরিয়ানের সঙ্গে কথাও বলেন মৌসুমী৷ কললিস্ট ঘেঁটে সে তথ্য মিলেছে৷ আরিয়ানের সঙ্গে ঠিক কী কথা হয়েছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ কেনই বা এই ঘটনা ঘটল? আত্মহত্যার বিষয়টি আরিয়ান জানা সত্ত্বেও কেন কাউকে কিছু জানাল না-সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ৷