মোমের আস্তরণে নেই ক্ষতি, নিশ্চিন্তে মার্কিন আপেল খাওয়ার পরামর্শ পুরসভার


বাজারে থইথই করছে যত আপেল তার ৭০ শতাংশই আমেরিকার। সে আপেলে মোম দেওয়া  ঠিকই। তবে সে মোম পেটে গেলে কোনও অসুবিধা নেই। সম্পূর্ণ খাদ্য উপযোগী এই আস্তরণকে ছাড়পত্র দিয়েই পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমনটাই জানালেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ।

বিতর্কের শুরু গত ১৩ জুন। দমদম রোড এবং পাইকপাড়া আশুবাবুর বাজার থেকে মোম মাখানো আপেল বাজেয়াপ্ত করেছিল পুরসভা। দুই ব্যবসায়ীকে আটকও করেছিল চিৎপুর থানার পুলিশ। ঝামেলা শুরু হয় এক ক্রেতা দমদমের কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশনের সামনে আপেল কিনতে গেলে। ছুরি দিয়ে আপেল কাটতে গিয়ে তিনি দেখেন তাতে মোম মাখানো। তড়িঘড়ি সেই আপেল সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় মোম রয়েছে আপেলের গায়ে। পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে এই মোম শরীরের কোনও ক্ষতি করবে না।  পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, "আপেল নিয়ে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। কিন্তু পরীক্ষার পর পুরসভা নিশ্চিত আপেল খেলে কোনও ভয় নেই। এতে শরীরে খারাপ হবে না।"

কি এই ওয়াশিংটন আপেল? শহরের বাজারে ৭০ শতাংশ আপেলই ওয়াশিংটন আপেল নামে পরিচিত। এই আপেল সুদূর আমেরিকা থেকে আসে। এতে যে মোম দেওয়া থাকে তা 'carnauba' বা 'shellac' জাতীয়। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই মোম খেতে কোনও বাধা নেই। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দ্বারা অনুমোদিত মোমের মতো দ্রব্যই ব্যবহার করা হয় আপেলে।

তবে ওয়াশিংটন আপেল ছাড়াও দেশীয় আপেলও রয়েছে বাজারে। তার গায়ে যে মোম তা ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক। সোমবার পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাছ থেকে পেড়ে আনা আপেলের গায়ে মোমের মতো যে আস্তরণ তা প্রাকৃতিক। এতে আপেল চটজলদি শুকিয়ে যায় না। আপেল প্যাকিংয়ের সময় ধুয়ে নেওয়া হয়, এই ধোয়ার সময়েই প্রাকৃতিক মোমের অর্ধেক আস্তরণ ধুয়ে যায়। ফলে তা পেটে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।