স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করতে চেয়ে অন্ধকারে শিক্ষক স্বামী যা করলেন...


একই পাড়ার বাসিন্দা। সেই সূত্রে পরিচয়, প্রেম, বিয়ে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যার সূত্রপাত।  শুরু হয় বিয়ে ভাঙার প্রক্রিয়া। আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলার ফাঁকেই স্ত্রীকে ফোন করে দেখা করতে চেয়েছিলেন শিক্ষক স্বামী। কথা ফেরাতে পারেননি স্ত্রী, ভেবেছিলেন হয়তো মিটে যাবে সমস্যা, হয়তো সেদিনের সেই সাক্ষাত্-তেই ফের নতুন করে শুরু হবে জীবন। কিন্তু ভুল ভাঙল স্ত্রীর।   মন ভুলিয়ে রাস্তায় ডেকে নিয়ে গিয়েও স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এই কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতেনাতে ধরা পড়ে যান শিক্ষক।  ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দর এলাকায়।

 স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে রায়গঞ্জ শহরের বন্দরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় ওই এলাকারই বাসিন্দা নবনিতা সাহার। অভিযোগ, বিয়ের ৪ বছর পর থেকে নবনীতার উপর  শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন প্রসেনজিত্। রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এরপর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়।  নবনীতা নিজের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন।

সোমবার দুপুরে প্রসেনজিৎ তাঁর স্ত্রী নবনিতার সঙ্গে দেখা করতে চান।  সেই মতো নির্দিষ্ট জায়গায় স্বামীর সঙ্গে দেখাও করেন নবনীতা। কিন্তু কিছুক্ষণ কথা বলার পরই ক্ষেপে ওঠেন প্রসেনজিত্। বচসা বেঁধে যায় দুজনের। কথা কাঁটাকাঁটির ফাঁকেই আচমকা স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন তিনি। সেসময় স্থানীয়দের চোখ এড়িয়ে চলে যান প্রসেনজিত্। কিন্তু রাতেই নবনীতা ও তাঁর বোনকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গালাগালি দেন বলে অভিযোগ। তখনই স্থানীয়দের হাতেনাতে ধরা পড়ে যান প্রসেনজিত্। তাঁকে আটকে রেখে রায়গঞ্জ থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিস গিয়ে প্রসেনজিত্-কে গ্রেফতার করে।