মোদীহত্যার গোপন ছক পুণে পুলিশের হাতে!


যে ভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই ভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুনের ফন্দি এঁটেছিলেন মাওবাদীরা।

এক সন্দেহভাজন মাওবাদীর কাছ থেকে পাওয়া গোপন একটি চিঠির সূত্রে ওই খুনের পরিকল্পনার কথা জানা গিয়েছে বলে পুণে পুলিশ বৃহস্পতিবার দিল্লির সেসন আদালতে জানিয়েছে।

আদালতে পুণে পুলিশের তরফে জমা দেওয়া সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ''আমরা রাজীব গাঁধী হত্যার মতো একটা ঘটনা ঘটাতে চাইছি। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের মতো ঘটনা। আমরা শেষ পর্যন্ত এটায় ব্যর্থ হতে পারি। কিন্তু এমন কিছুর কথা আমাদের ভাবতেই হবে।''
ধৃত রোনা উইলসনের বাড়ি থেকে পাওয়া মাওবাদীদের ওই গোপন চিঠিতে লেখা হয়েছে, ''বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বড় বিপর্যয় হলেও দেশের ১৫টি রাজ্যে বিজেপি ভালই সরকার চালাচ্ছে। ওরা (বিজেপি) যদি এই ভাবে এগোয়, তা হলে সব দিক দিয়েই তা আমাদের দলের পক্ষে বিপদের কারণ হয়ে উঠবে। তাই দলের কয়েক জন সিনিয়র নেতা মোদী যুগের অবসান ঘটানোর কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন।''

পাবলিক প্রসিকিউটর উজ্জ্বলা পওয়ার আদালতে বলেছেন, ''রোনার বাড়ি থেকে যে চিঠিটি উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে এম-ফোর রাইফেল ও ৪ লক্ষ রাউন্ড গুলিগোলা কেনার জন্য ৮ কোটি টাকা দরকার।''  

মুম্বই, নাগপুর ও দিল্লিতে ধরপাকড় চালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য বুধবার পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দলিত নেতা সুধীর ধাওয়ালে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, মহেশ রাউত, সোমা সেন ও রোনা উইলসন।

আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ৫ জনই 'শহরে মাওবাদীদের শীর্ষ স্তরের নেতৃত্ব'।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, 'কমিটি ফর রিলিজ অফ পলিটিক্যাল প্রিজনার্স' সংগঠনের সদস্য রোনা মূলত দিল্লিতেই কাজ করতেন।

ধৃত ৫ জনই গত জানুয়ারিতে ভিমা-কোরেগাঁওয়ে জাতি দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ আদালতে জানিয়েছে। ধৃতদের অন্যতম নাগপুরের আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ পিপল‌্‌স ল'ইয়ার্স (আইএপিএল)-এর সদস্য। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোমা সেন, প্রধানমন্ত্রীর গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন ফেলো মহেশ রাউত এবং ভিমা-কোরেগাঁওয়ে দলিতদের অভিযানের সংগঠক সুধীর ধাওয়ালে।