সন্দেহ অবৈধ সম্পর্ক, পিটিয়ে খুন যুবককে


কৃষ্ণনগর: নদিয়ার কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর এলাকায় সোমবার রাতে এক যুবক খুন হয়েছে। নিহত ওই যুবকের নাম স্মরজিৎ ঘোষ (২৮)। তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরের গেট রোড এলাকায়। তবে ঘটনাটি ঘটেছে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নগেন্দ্রনগরের খালের ধারে। দুষ্কৃতীরা তাঁকে রড দিয়ে মারে এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এর ফলে তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় মানুষ এবং পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করে শক্তিনগরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সেখানেই কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্মরজিৎ প্রায়ই পাশের এলাকায় একটি বাড়িতে রাতে যাতায়াত করতেন। এলাকার মানুষের ধারনা অবৈধ সম্পর্ক আছে এই সন্দেহে তাঁকে খুন করা হতে পারে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। স্মরজিৎ কলকাতায় একটি হোটেলে রান্নার কাজ করতেন। পুলিস জানিয়েছে, এই ঘটনায় দুই স্থানীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই খুন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান। 
নিহত যুবক স্মরজিৎ ঘোষের বাড়ি কৃষ্ণনগর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গেটরোড এলাকার ইরিগেশন কলোনির জলঙ্গি নদীর ধারে। অবিবাহিত স্মরজিৎ কোনও কারণে গিয়েছিলেন কাছেই নগেন্দ্রনগর শ্মশানকালী মন্দিরের কাছে। সেখানে অঞ্জনা খালের ধারে তাঁকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, স্মরজিৎ সেখান থেকে পালিয়েও আসেন। কিন্তু তাঁকে আবার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। ফের মারা হয়। খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করেন এবং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভর্তি করার কিছু পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে, এক গৃহবধূকে খুনের দায়ে তাঁর জায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কৃষ্ণনগরে এক আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে। নিহত বধূর নাম মিতা ঘোষ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হল তাঁর জা অষ্টমী ঘোষের। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের তৃতীয় দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক গৌরসুন্দর ব্যানার্জি এই সাজা ঘোষণা করেন। এই মামলায় সরকারি আইনজীবী ছিলেন মিলন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল কোতয়ালি থানার কয়া গ্রামে। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিহত বধূর স্বামী রসরাজ ঘোষ। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তখন তাঁর দাদা বাঁকাচাঁদ ঘোষ এবং বৌদি অষ্টমী ঘোষ জোর করে তাঁর স্ত্রী মিতা ঘোষের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।