দিনেদুপুরে বৈদ্যবাটী প্ল্যাটফর্মে কুপিয়ে খুন


বৈদ্যবাটী স্টেশনে পড়ে দেহ।

ভরা প্ল্যাটফর্মে আচমকা এক যুবককে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করল আর এক যুবক! রক্তাক্ত অবস্থায় যুবকটি লুটিয়ে প়ড়লেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তাঁর। সকলের সামনে দিয়েই সঙ্গীকে নিয়ে হেঁটে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ল অভিযুক্ত।

মঙ্গলবার দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ হুগলির বৈদ্যবাটী স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্মে এই কাণ্ডে হতচকিত হয়ে যান যাত্রীরা। রেল পুলিশ গিয়ে নিহত জয়প্রকাশ দাসের (২৪) দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তিনি চাঁপদানির বিএনএম লেনে ভাড়া থাকতেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বৈদ্যবাটী স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে খুনে অভিযুক্ত প্রমোদ দাস ওরফে মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধরা হয় মুন্নার সঙ্গী রাজু দাসকেও।

রেল পুলিশের একটি সূত্রের খবর, মুন্নার স্ত্রীকে জয়প্রকাশ উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। আগেও দু'জনের মধ্যে এ নিয়ে গোলমাল, মারামারি হয়। হাওড়া রেল পুলিশের ডিএসপি শিশিরকুমার মিত্রের দাবি, ''পুরনো শত্রুতার জেরেই ওই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্ত দু'জনকেই ধরা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত অপরাধের কথা কবুল করেছে।''

তদন্তকারীরা জানান, ধৃত মুন্না জেরায় দাবি করেছে, দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে জয়প্রকাশ উত্ত্যক্ত করত। মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় জয়প্রকাশ তার স্ত্রীকে ছুরি দেখায়। দুপুরে স্টেশনে জয়প্রকাশকে দেখে সে প্রতিবাদ করে। জয়প্রকাশ ছুরি বের করে তাকে আক্রমণের চেষ্টা করে। তখন সে ছুরিটি কেড়ে নিয়ে পাল্টা চালিয়ে দেয়। রাজু অবশ্য দাবি করেছে, সে গোলমাল থামাতে গিয়েছিল। মুন্না বৈদ্যবাটীর রামমোহন সরণিতে ভাড়া থাকে। জয়প্রকাশও আগে ওই এলাকায় থাকতেন। সেই সূত্রেই দু'জনের আলাপ বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ দিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক হকারের কথায়, ''তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা ছেলেকে ছুরি মারছে একটা লোক। আতঙ্কে কাঁটা হয়ে যাই।'' প্ল্যাটফর্মের ধারে গ্যারাজ রয়েছে স্বামীনাথ পাসোয়ানের। তিনিও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর কথায়, ''বচসা হচ্ছিল। তার মধ্যেই ওই ঘটনা। লাল জামা পরা একটা লোকের হাতে ছুরি ছিল। ঘটনার পরে সঙ্গীকে নিয়ে হেঁটে সে স্টেশনের পাশ দিয়ে জিটি রো়ডের দিকে চলে যায়।''