সিবিএসই এনইইটি পরীক্ষায় প্রথম বিহারের এই 'ধন্যি মেয়ে', পেলেন ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল


এই বছর সিবিএসই এনইইটি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান পেয়েছেন কল্পনা কুমারী। মেডিকাল ও ডেন্টাল কোর্সের স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষার্থী নির্বাচনের এই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।

দিল্লিতে থেকে এই পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন কল্পনা। আদতে তিনি বিহারের বাসিন্দা। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ি এনইইটি ২০১৮-য় তিনি ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল স্কোর করেছেন। এই পরীক্ষার ৭২০ -র মধ্যে তিনি মোট ৬৯১ নম্বর পেয়েছেন। ফিজিক্সে তিনি ১৮০ মধ্যে পেয়েছেন ১৭১, কেমিস্ট্রিতে ১৬০। বায়োলজিতে তাঁর কোনও নম্বর কাটা যায়নি। জুলজির ও বটানি মিলিয়ে ৩৬০-এ ৩৬০-ই পেয়েছেন কল্পনা।

কল্পনার পরেই আছেন তেলেঙ্গানার রোহন পূরোহিত। তিনি এনইইটি ২০১৮-য় দ্বিতীয় হয়েছেন। মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন দিল্লীর হিমাংশু শর্মা। এই বছর মোট ৬,৩৪,৮৯৭ জন ছাত্র এনইইটি পরীক্ষায় পাস করেছেন। সিবিএসই এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে সিবিএসই ১৫% অল ইন্ডিয়া কোটা সিটের জন্য যোগ্য এবং সফল প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রস্তুত করবে। সেই তালিকাটি পাঠানো হবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ডিজিএইচএস (মেডিকেল এক্সামিনেশন সেল)-এর কাছে । তারপর অনলাইন কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে ১৫% অল ইন্ডিয়া কোটার আসনগুলি বরাদ্দ করা হবে।

এই পরীক্ষায় আনরিজার্ভড বা অসংরক্ষিত বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কাট-অফ পার্সেন্টাইল রাখা হয়েছে ৫০ পার্সেন্টাইল আর কাট অফ স্কোর ৬৯১-১১৯। ওবিসি / এসসি / এসটি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কাট-অফ পার্সেন্টাইল ও কাট-অফ স্কোর যথাক্রমে ৪০ পার্সেন্টাইল ও ১১৮-৯৬। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অসংরক্ষিত বিভাগের কাট-অফ পার্সেন্টাইল ও স্কোর হল, ৪৫ পার্সেন্টাইল ও ১১৮-১০৭। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা ওবিসি / এসসি / এসটি পরীক্ষার্থীদের কাট-অফ পার্সেন্টাইল ও কাট-অফ স্কোর রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৪০ পার্সেন্টাইল ও ১০৬-৯৬।

গত ৬ মে হয়েছিল এই মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা। পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লক্ষেরও বেশি। আগের বছর এই পরীক্ষায় বসেছিলেন সাড়ে ১১ লক্ষ পরীক্ষার্থী। সারা দেশে বর্তমানে চিকিৎসা ও ডেন্টাল ইনস্টিটিউটগুলিতে মোট ৬0,000 টি আসন রয়েছে। সোমবার বেলা ২টো নাগাদ প্রকাশিত হয় এই পরীক্ষার ফল।