মদের টাকা জোগাড়ে পথচারীকে ১৪ বার ছুরির কোপ


যে কোনও নেশাই সর্বনাশা হতে পারে। তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ রাখল দিল্লির এক যুবক। মদ্যপানের জন্য টাকা জোগাড় করতে এক পথচারীর মোবাইল ছিনতাই করে সে। বাধা দিলে ছুরি দিয়ে তাঁকে ১৪ বার কোপ মারে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই পথচারীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা। 

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ওখলায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে কাজের পর বাড়ি ফিরছিলেন অরবিন্দ চৌহান। একটি প্রিন্টি প্রেসে ডিজাইনারের কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় মানুষ ফোন করে জানান, রাস্তার পাশে এক ব্যক্তি পড়ে রয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে তাঁর সারা শরীর। পুলিশ এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

 অরবিন্দ-র পকেট থেকে একটি ব্যাঙ্কের ডিপোজিট স্লিপ পাওয়া যায়, তা থেকেই নাম জানা যায় তাঁর। পকেটে সামান্য কিছু নগদ টাকাও ছিল। কিন্তু মোবাইল ছিল না। তাঁর সারা গায়ে ১৪ বার ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। বাড়িতে খোঁজখবর করে তাঁর মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন সার্চ করে দেখা যায়, মাত্র এক দিনের মধ্যে দিল্লির বহু জায়গায় ঘুরেছে মোবাইলটি। তা থেকেই পুলিশের সন্দেহ হয়, মোবাইল বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত চুরিতে বাধা দিতে গিয়েই নিহত হয়েছেন অরবিন্দ।

টাওয়ার লোকেশন ধরেই সন্দীপের খোঁজ পায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আটক করা হয়। জেরার মুখে সে স্বীকার করে, মদের টাকা জোগাড়ের জন্যই মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়েছিল। কিন্তু মোবাইল নিয়ে পালানোর সময় অরবিন্দ তাঁকে ধরে ফেলে। তার চুল ধরে মাটিতে ঠেসে ধরে। এর ফলেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে সন্দীপ। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সে জানায়, চুল তার শরীরের অন্যতম প্রিয় অংশ। তাই চুলের মুঠো ছাড়াতে প্রথমে তিনবার ছুরির আঘাত করে। তাও চুল না ছাড়ায় একের পর এক কোপ মারতে থাকে সে। পাশেই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন অরবিন্দ। সন্দীপের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।