বিয়েবাড়ি থেকে শিশুকে অপহরণ-ধর্ষণ-খুন, গ্রেপ্তার আইসক্রিমওয়ালা


CCTV ফুটেজ থেকে নেওয়া।


বিয়েবাড়ি থেকে ৬ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর তাকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পরিচয় গোপন করতে শিশুটির মুখ পুড়িয়েও দেয় ধর্ষক। গোয়ালিয়রের এই নৃশংস ঘটনার তিনদন পর এক আইসক্রিমওয়ালাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে শিশুটিকে লোভ দেখিয়ে বিয়েবাড়ির বাইরে নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত। 

মোরেনার বাসিন্দা ছোট্ট শিশুটি একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল। রাত ১১.৩০টা নাগাদ সবাই যখন বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত, তখন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শিশুটিকে আইসক্রিম দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিয়েবাড়ির বাইরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। শিশুটির বাবা-মা ব্যস্ত থাকায় তাঁরা আর খেয়াল করেননি, কখন তাঁদের মেয়ে বাইরে চলে গিয়েছে। অনেকক্ষণ মেয়েকে দেখতে না-পেয়ে তাঁরা খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু মেয়ের সন্ধান না-পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিয়েবাড়ির থেকে ৫০০ মিটার দূরে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। হত্যাকারী শিশুটির মুখ নৃশংসভাবে পুড়িয়ে দেয়, যাতে কেউ তাকে চিনতে না-পারে। পুলিশ জানিয়েছে, 'গোয়ালিয়রের কেশাপাহাড়ীর কাছে একটি জঙ্গলে বাচ্চা মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়েছে। কাল রাত থেকে মেয়েটি নিখোঁজ ছিল। CCTv ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তির পেছন পেছন এগিয়ে যাচ্ছে শিশুটি।' 

এরপর ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কুশওয়াহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় সে স্বীকার করে নিয়েছে যে সে-ই শিশুটিকে অপহরণ করে তাকে ধর্ষণ করেছে ও তারপর খুন করেছে। বিয়েবাড়িতে ফ্রি-তে খাওয়ার পর সে শিশুকন্যাটিকে দেখতে পেয়ে আইসক্রিম খাওয়ানোর লোভ দেখায়। শিশুটিকে তার সঙ্গে যেতে বলে সে। আইসক্রিমের লোভে শিশুটিও পিছু নেয় ওই শয়তানের। এরপর পরিত্যক্ত একটি জায়গায় শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে তাকে ছিঁড়ে খায় ওই আইসক্রিমওয়ালা।