মালদহে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, গাড়ি-ডাম্পারের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু


মালদহ: জাতীয় সড়কে ফের দুর্ঘটনা। পথের বলি পাঁচ। মৃতদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য। মঙ্গলবার ভোররাতে বৈষ্ণবনগরের আঠারো মাইলের চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনা ঘটে। টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে সামনের দিক থেকে আসা ডাম্পার। তাতেই গাড়ির মধ্যে থাকা পাঁচজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন।

জানা গিয়েছে, মালদহের বিবিগ্রামের বাসিন্দা মুরলি প্রসাদ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটে আত্মীয়ের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ভোররাতে মালদহ শহরে নিজের বাড়ির ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়িতে ছিলেন একই পরিবারের চার সদস্য ও তাঁদের চালক। পথেই ঘটে বিপত্তি। বৈষ্ণবনগরের ষোলো মাইলের কাছে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে টোলপ্লাজায় গাড়ি দাঁড় করান তাঁরা। সেই সময় আচমকাই সামনের দিক থেকে আসা ডাম্পার তাঁদের গাড়িটিতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মুরলি প্রসাদ, তাঁর স্ত্রী কৌশল্যা এবং দম্পতির দুই ছেলে রাকেশ ও অমিত মারা যান। মৃত্যু হয় তাঁদের গাড়ি চালকের।

ভোররাতে জাতীয় সড়কে যাত্রীবাহি বাস চলাচল না করলেও, লরি-ডাম্পার যাতায়াত করে অহরহ৷ ভোররাতের দুর্ঘটনার জেরে সামান্য যানজট তৈরি হয়৷ তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ফাঁকা করে দেওয়া হয় রাস্তা৷ খবর দেওয়া হয় পরিজনদেরও। দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ডাম্পারটিও আটক করা হয়েছে। তবে বেপাত্তা ডাম্পার চালক। তার খোঁজ শুরু হয়েছে।

নিহত মুরলি প্রসাদ ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকায় যথেষ্ট পরিচিতি ছিল তাঁর। দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।পথ দুর্ঘটনা রোধে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ গতি নিয়ন্ত্রণেও নেওয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা৷ তা সত্ত্বেও একের পর এক দুর্ঘটনার বলি হচ্ছে বহু প্রাণ।