নরোদা-গণহত্যা: ৩ জনকে ১০ বছরের সাজা দিল গুজরাত হাইকোর্ট


আমদাবাদ: ২০০২ সালের নরোদা-পাটিয়া হত্যাকাণ্ডে মামলায় তিন দোষী সাব্যস্তকে ১০ বছরের সশ্রম কারাবাসের সাজা দিল গুজরাত হাইকোর্ট। গত ২০ এপ্রিল ১৬ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল উচ্চ আদালত। তাদের মধ্যে এদিন তিনজনের সাজা ঘোষণা হল।

সোমবার, বিচারপতি হর্ষ দেবানী ও বিচারপতি এ এস সুপেহিয়ার ডিভিসন বেঞ্চ পি জে রাজপুত, রাজকুমার চাউমল এবং উমেশ ভারওয়াড়কে ১০ বছর কারাবাসের সাজা দেয়। বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, অপরাধের নির্মমতা বিচার করেই সাজা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সময়, তিন অভিযুক্ত শাস্তির মেয়াদ ঘোষণার আগে আরও শুনানির আবেদন করেছিল। তাদের দাবি ছিল, মামলায় তাদের বক্তব্যকে ঠিক করে তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এদিন সাজা ঘোষণা করার সঙ্গে আদালত এই তিনজনকে আত্মসমর্পণ করার জন্য ছ'সপ্তাহ সময় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, যে অপরাধ এই তিনজন করেছে, তা সমাজের বিরুদ্ধে অপরাধ।

২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গোধরা-পরবর্তী হিংসা মামলায় আমদাবাদের নরোদা-পাটিয়া অঞ্চলে ৯৭ জনকে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। নিহতদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু-সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলন।

এই গণহত্যা মামলায় মোট ৬১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০১২ সালের অগাস্ট মাসে ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ সিট আদালত। ২৯ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়।

এরপর আবেদন মামলায় চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ৩২ জনের মধ্যে ১৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে হাইকোর্ট। এর মধ্যে বাকি ১৩ জনের সাজা ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছে।

১২ জনকে ২১ বছরের কারাবাস দেওয়া হয়। একজনকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। বিজেপি মন্ত্রী মায়া কোদনানি সহ ১৬ জনকে বেকসুর খালাস করে আদালত।