পণ না দিতে পারায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুন, আটক স্বামী


সোনারপুর : পণ না দিতে পারায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে ৷ রবিবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ । যদিও বাকিরা এখনও অবধি পলাতক বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷

ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুরের কাদারহাটে। ৬ বছর আগে বিয়ে হয় কাদারহাটের বাসিন্দা গৌতম নস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় শেফালি নস্করের । গৌতম পেশায় ব্যবসায়ী । তার মুদিখানার দোকান ছিল । বিয়ের পর থেকেই সুখের সংসার করছিলেন শেফালি ৷ কিন্তু কন্যাসন্তান হওয়ার পরই সুখের সংসারের ছন্দপতন ঘটে ৷

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, নানা অছিলায় বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত শেফালির শ্বশুরবাড়ি ৷ পণের কারণে স্বামী ছাড়াও শ্বশুর চন্ডীচরন নস্কর ও শ্বাশুড়ি শোভা নস্কর অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ করে মৃতার বাবা ।

শেফালির বাবা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ ফোন করে গৌতম ৷ সে জানায়, শেফালি অসুস্থ । এরপরই শেফালির বাবা মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ৷ যদিও তাঁর দাবি, এটি আত্মহত্যা নয় ৷ তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন শেফালির বাবা ৷