নীতিপুলিশের তাণ্ডব অসমে, ‘পরকীয়া’র অভিযোগে মাথা কামানো হল মহিলার


ফের 'নীতিপুলিশ'-এর দাদাগিরির ঘটনা ঘটল অসমে।

এ বার প্রেম করার 'অপরাধ'-এ বেধড়ক পেটানো হল এক যুগলকে। মাথা কামিয়ে দেওয়া হল এক মহিলার। তাঁর কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হল। মারধরে জখম হওয়ায় ওই যুগলকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। পরে ওই ঘটনায় জড়িত আট জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এই নিয়ে অসমে এ মাসে 'নীতিপুলিশ'-এর দাদাগিরির ঘটনা ঘটল তৃতীয় বার। জুনের গোড়ায় কার্বি আংলংয়ে শিশু পাচারকারী অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয় দুই যুবককে। আর গত সপ্তাহে গোয়ালপাড়া জেলায় বাইক-আরোহী এক যুগলকে প্রচণ্ড মারধর করে নীতিপুলিশরা, বিয়ে না করে ওই ভাবে ঘোরাফেরা করার দায়ে।

পুলিশ জানাচ্ছে, রবিবার তাঁর প্রেমিকাকে দেখতে নগাঁও জেলার তুবুকি গ্রাম থেকে ঝুমুরমুর গ্রামে এসেছিলেন এক যুবক। ওই সময় মহিলা-সহ গ্রামেরই কয়েক জন ঘিরে ফেলেন ওই মহিলার বাড়ি। তাঁদের অভিযোগ, দু'জনেই অন্যত্র বিবাহিত। কিন্তু তার পরেও তাঁরা লুকিয়েচুরিয়ে 'অবৈধ প্রণয়' চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ দিন ধরে। গ্রামবাসীদের একাংশ ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে যুগলকে মারধর করতে শুরু করেন। যুবকটি ওই মহিলার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে ঘিরে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তার পর তাঁকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। ওই সময় মহিলাটি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। তাঁর মাথা কামিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। রাত পর্যন্ত ওই মহিলার বাড়িতে চালানো হয় তাণ্ডব।

নগাঁও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপুল দাস বলেছেন, ''গ্রামবাসীরা আমাদের খবর দেন সোমবার সকালে। সেখানে পৌঁছলে গ্রামবাসীরা ওই যুগলকে আমাদের হাতে তুলে দেন। ওঁরা (যুগল) গুরুতর জখম ছিলেন। পুলিশ ওঁদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।''