শিশুদের যৌন নির্যাতনে গ্রেফতার খোদ শিশু সুরক্ষা আধিকারিক


পাটনা: রক্ষকই ভক্ষক। এবার শিশুদের যৌন নির্যাতনে গ্রেফতার শিশু সুরক্ষা অফিসারই৷ লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজাফরপুরে৷ জেলা শিশু সুরক্ষা অফিসার রবি রৌশনকে রবিবার সন্ধ্যায় তার নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুজাফরপুরের এসএসপি হরপ্রীত কাউর৷

মুজাফরপুর পুলিশ শিশু নির্যাতন ও শিশু যৌন কেলঙ্কারীতে দশজন গ্রেফতার করেছে। অবাক হবার বিষয় এটাই যে এর মধ্যে আছেন, জেলা শিশু সুরক্ষা অফিসার রবি রৌশনও। আর এখানেই শোরগোল পরেছে রাজ্য জুড়ে।

যাঁর উপর জেলার শিশুদের রক্ষার ভার, তিনিই যদি শিশুদের যৌন নিগ্রহে জড়িয়ে পড়েন তাহলে প্রশাসনের উপর কি করে ভরসা রাখবে আমজনতা, উঠছে প্রশ্ন। নির্যাতিত কয়েকজন শিশু ছবি দেখে রবি রৌশনের বিরুদ্ধেই যৌন নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগ করে। তারপরই তাকে গ্রেফতার করে মুজাফরপুর পুলিশ।

সেবা সংকল্প ইভম বিকাশ সমিতি নামে একটি এনজিও র বিরুদ্ধে শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। শিশুদের যৌনতার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে ওই এনজিও র বিরুদ্ধে। বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে এবছরের ৩১ শে মে ৪৪ জন মেয়েকে ওই এনজিও থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে আছে মুজাফরপুর জেলা শিশু সুরক্ষা অফিসার রবি রৌশন। উদ্ধার হওয়া ওই ৪৪ জন মেয়ের মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের যৌন হেনস্থার পিছনে রবি রৌশনকেই দায়ী করেন। তাদের যৌন নির্যাতনের পিছনে যে রবি রৌশনের হাত রয়েছে তা ছবি দেখেই বলে দেয় ওই মেয়েরা। নির্যাতিতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ওই অফিসারকে।

যদিও অভিযুক্ত অফিসার রবি রৌশনের দাবী, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার দাবী, সে যখনই ওই হোমে গেছে তার সঙ্গে ছিলেন সামাজিক সুরক্ষা দফতরের অন্যান্য অফিসাররাও।

বিহারের সামাজিক সুরক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই ওই অফিসার সহ ১০ জনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দন্ডবিধি ও পসকো আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এফআইআর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ৪৪ জন কমবসয়ী মেয়েকেই যৌন হেনস্থা ও নির্যাতন করা হয়েছে। যার জন্য ওই এনজিও ও সামাজিক সুরক্ষা দফতরের অফিসাররাও সমান ভাবে দায়ী।

পুরো ঘটনা সামনে আসার পর বিহার সরকার এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বাকি হোমগুলিতেও এবার কড়া নজর দিতে চলেছে বাহির সরকার।