কচি বয়সের যৌন জীবনেও হাজার সমস্যা, সুখ কখনও বয়স মানে না


যৌনতায় সমস্যা এখন আর কোনও নির্দিষ্ট বয়সের গণ্ডিতে আটকে নেই। কৈশোর আর তারুণ্যও যৌন সমস্যায় জেরবার।

বুড়ো বয়সে লিঙ্গোত্থান হয় না! বয়স বেশি হলে মেয়েদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা চলে যায়! উঁহু, এমন সমস্যা এখন আর কোনও নির্দিষ্ট বয়সের গণ্ডিতে আটকে নেই। কৈশোর আর তারুণ্যও যৌন সমস্যায় জেরবার। সম্প্রতি কানাডায় একটি সমীক্ষাতে উঠে এসেছে এমন রোমহর্ষক তথ্য।

১৬-২১ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের যৌনজীবন নিয়ে কানাডায় সমীক্ষা চালান একদল চিকিৎসক। ১১৪ জন ছেলে এবং ১৪৪ জন মেয়ের মতামত নেওয়া হয়। সম্প্রতি তার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে 'দ্য জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন'-এ।

দেখা গিয়েছে, এই বয়সী ছেলেমেয়েরা প্রত্যেকেই যৌনজীবনে অভ্যস্ত। কিন্তু, ৫৩ শতাংশই ছেলেই জানিয়েছে, তারা সমস্যার শিকার। ধ্বজভঙ্গ, শীঘ্রপতন, বিবিধ যৌনরোগ ইত্যাদি রয়েছে। ১৬ শতাংশ ছেলে জানিয়েছে, তাদের ধ্বজভঙ্গের সমস্যা নিয়মিত নয়, বরং মাঝেমধ্যে তা হয়। ২৪ শতাংশ ছেলের লিবিডো বা কামেচ্ছা কম। যদিও তারা চায় তাদের লিবিডো বাড়ুক। কিন্তু, অল্প বয়সে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তা প্রকাশ করতে লজ্জা পায়।

সমীক্ষকদের দাবি, এই অল্পবয়সী ছেলেরা যে সমস্যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি জর্জরিত, তা হল ধ্বজভঙ্গ। তাদের শরীর কামের ডাকে সাড়া দিলেও সেক্সের সময় সবচেয়ে বেশি অবসাদ ঘিরে ধরে। কারণ, লিঙ্গ দাঁড়ায় না। ফলে, প্রেমিকার শারীরিক চাহিদা মেটাতে তারা ব্যর্থ হয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রেও সমস্যা কম নেই। ১৬-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, তাদের অর্গাজম হয় না। আরও একটি সমস্যা হল, সেক্সের সময় যোনিপথ পিচ্ছিল না হওয়া। ফলে, সেক্স করলেও শারীরিক তৃপ্তি থেকে তারা বঞ্চিত থাকে।

২০-২১ বছর বয়সী মেয়েদের একাংশ 'সিঙ্গল মাদার' হতে চায়। সেই জন্য তারা পুরুষসঙ্গীর সঙ্গে ইচ্ছে করেই অসুরক্ষিত সেক্স করে। দেখা যাচ্ছে, তা সত্ত্বেও তারা সন্তানধারণে সক্ষম হয়নি।

কিন্তু, কেন এমন সমস্যা? সমীক্ষরা কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করেছেন। যেমন, ওবেসিটি, অতিরিক্ত মদ্যপান, অবসাদ, কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস, হাই সুগার ইত্যাদি। মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তা হল, পলিসিস্টিক ওভারি। সব মিলিয়ে তাই প্রভাব পড়ছে যৌনজীবনে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা, জাঙ্কফুড খাওয়া বন্ধ করা, মদ খাওয়া থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি করতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই সমীক্ষা রিপোর্টে।