চাকরি দেওয়ার নামে কিডনি পাচার!


কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন গ্রামের তিন যুবক। বছর পাঁচেক তাঁদের কোনও খোঁজ ছিল না। কয়েক দিন আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে একটি চিঠি এসেছে। গ্রামবাসীদের দাবি, সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, ভিন রাজ্যে নিয়ে বিক্রি করা দেওয়া হয়েছে ওই তিন যুবকের কিডনি। এখন ভিক্ষা করে দিন কাটছে তাঁদের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের মাড়গ্রামে। কিন্তু, এই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে পুলিশকে কেন চিঠি পাঠানো হল না?  সে প্রশ্নও তুলেছেন গ্রামবাসীরা।

বিভিন্ন জেলা থেকে ভিনরাজ্যে, এমনকী, বিদেশেও শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ার রেওয়াজ নতুন নয়। এক্ষেত্রে দালালদের উপরই ভরসা করেন বেকার যুবক-যুবতীরা। মাড়গ্রামের বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন,  বছর পাঁচেক আগে স্থানীয় দালালকে ধরেই কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়েছিলেন গ্রামের তিন যুবক। এরপর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু কারওরই আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আর সেভাবে মাথা ঘামাননি গ্রামবাসীরা। কিন্তু, এখন একটি উড়ো চিঠিকে কেন্দ্র করে গোটা ঘটনাটি অন্য দিকে মোড় নিয়েছে।

বীরভূমের মাড়গ্রামের বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, কয়েক দিন আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ঠিকানায় একটি চিঠি এসেছে। সেই চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে ২১ লক্ষ টাকায় ওই তিন যুবকের কিডনি বিক্রি করা গিয়েছে। এখন ভিক্ষা করে দিন কাটছে ওই হতভাগ্য যুবকদের। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই তিন যুবককে উদ্ধার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু, চিঠিতে তাঁদের ফোন নম্বর বা ঠিকানার উল্লেখ নেই। সবচেযে বড় কথা, কাশ্মীরে  গিয়ে ওই তিন যুবক যদি সত্যি কিডনি পাচাকারীদের খপ্পরে পড়ে থাকেন, তাহলে তো তাঁদের উদ্ধার করা দায়িত্ব পুলিশের। তাহলে পঞ্চায়েত প্রধানকে কেন চিঠি পাঠালো হল?  প্রশ্নও তুলেছেন গ্রামবাসীরা।