স্ত্রীকে শিক্ষা দিতে ডিনামাইট ফাটিয়ে বাড়ি ওড়ালেন স্বামী


সিউড়ি: কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন জামির মোল্লা৷ ছুটি পেলে মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসেন বছর ৪০-এর ওই ব্যক্তি৷ মঙ্গলবার বিকেলে সেভাবেই ফিরেছিলেন তিনি৷

কিন্তু তাল কাটল দাম্পত্যকলহ৷ ছুটিতে বাড়িতে এসেও শান্তি নেই! তাই রাগে বাড়িতেই ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেললেন তিনি৷ ফলে বিস্ফোরণে উড়ে গেল গোটা বাড়িটাই৷

চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে এই বাংলাতেই৷ ঘটনাস্থল বীরভূমের সদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রাম৷ সেখানেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছেন জামির মোল্লা৷ আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা৷

তবে স্ত্রীকে শিক্ষা দিতে গিয়ে নিজেই গুরুতর জখম হয়েছেন ওই ব্যক্তি৷ তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি হাসপাতালে৷ আপাতত সেখানেই তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন৷ যদিও তাঁর স্ত্রী সবুরা বিবির আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে৷

এদিকে এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে৷ তার মধ্যে অন্যতম জামির মোল্লার কাছে ডিনামাইটের মতো বিস্ফোরক এল কীভাবে? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামির মোল্লা পাঁচামি পাথর খাদানের কাজ করেন৷ সেখান থেকেই তিনি মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি ফিরেছিলেন৷ তার পরই এই ঘটনা ঘটান৷ ফলে পুলিশের অনুমান, খাদান থেকেই ওই ডিনামাইট এনেছিলেন জামির৷

কিন্তু পাথর খাদানে বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত ডিনামাইট তো সুরক্ষিত অবস্থায় মজুত রাখার কথা৷ সেই বিস্ফোরক কীভাবে একজন সাধারণ কর্মীর হাতে এল? খাদানের বিস্ফোরক এত সহজলভ্য হলে যেকোনও সময় আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও পুলিশের একটা অংশের অনুমান৷

পুলিশ এ নিয়ে কিছু জানায়নি৷ তবে তদন্ত শুরু করেছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, কীভাবে ওই বিস্ফোরক মিলল জামিরের কাছ থেকে তা জানার চেষ্টা করবে তারা৷ একই সঙ্গে জামিরের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না৷ তিনি হুকিং করে বাড়িতে বিদ্যুতিন সামগ্রী ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ৷ সেই বিষয়টিও পুলিশ তদন্ত করে দেখবে বলে জানা গিয়েছে৷