সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার জামাইয়ের মৃতদেহ


বোলপুর: নিছক সন্দেহের বশে জামাইকে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে৷ মৃতদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ৷ বীরভূমের নানুরের ঘটনা৷ মৃতের নাম রসুল বক্স৷ মুর্শিদাবাদ জেলার খারেরার বাসিন্দা তিনি৷ বয়স বছর পঁয়তাল্লিশের কাছাকাছি৷

মুম্বইয়ে কাজ করতেন রসুল৷ চারদিন আগেই নানুরের বালিগুনিবদব তে শ্বশুরবাড়ি যান তিনি৷ বালিগুনিতে আসার পর শ্বশুরবাড়ির এলাকায় বেশ ঘোরাফেরাও করছিলেন৷ কিন্তু শনিবার বিকেল থেকে তাঁকে আর দেখতে পাননি এলাকার লোকজন৷ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে দু'একজন জিজ্ঞাসাও করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁরা বলেন রসুল মুম্বইয়ে ফিরে গিয়েছেন৷

সকলে তা মেনেও নেয়৷ কিন্তু বাড়ির ছোট বউ গোটা পরিকল্পনাটাই ভেস্তে দেয়৷ লুকিয়ে প্রতিবেশীদের জানিয়ে দেয়, রসুল বক্সকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখে দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, সাদা কাপড়ে, লবন দিয়ে মুড়ে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করা হয়েছে বলে অভিযাগ৷

খবর ছড়াতেই স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়৷ এরপর শনিবার রাতেই পুলিশ চড়াও হয় এলাকায়৷ বাড়ির সেপটি ট্যাঙ্ক খুলে দেখে লবন দিয়ে ঢাকা সাদা কাপড়ে মোড়া রসুলের মৃতদেহ৷ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর রসুল বক্সের শ্বশুর, শাশুড়ি, বউ এবং শ্যালিকাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷

রসুলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে, রসুলের সঙ্গে অন্য এক মহিলার সম্পর্ক ছিল৷ বিয়ে করার পরও তাঁর সঙ্গেই নাকি রসুল থাকত বলে অভিযোগ৷ পুলিশ অবশ্য গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে৷ সত্যিই অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের জেরে এই খুন৷ নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে নানুর থানার পুলিশ।