মাত্র পাঁচ টাকায় পেটপুরে ভোজন!


ডেস্টিনেশন এসএসকেএম হাসপাতালের ঠিক উলটোদিকের ফুটপাথ। সেখানেই মাত্র পাঁচ টাকায় ভাত, ডাল, সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ঠাকুরপুকুর এস বি পার্ক সর্বজনীন পুজো কমিটির কর্তারা।

লালবাজার ও স্থানীয় থানার অনুমতিতে আপাতত সপ্তাহে একদিন, শুক্রবার করে এই বিশেষ নিরামিষ থালির আয়োজন করা হয়েছে৷ দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দু'টো পর্যন্ত খাবার সরবরাহ চলবে। মেনুতে থাকবে ভাত, নিরামিষ ডাল, তরকারি। সঙ্গে দেওয়া হবে একটি লাড্ডুও৷

কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রচুর দরিদ্র মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। হোটেল, রেস্তরাঁ থেকে খাবার কিনে খাওয়ার সাধ্য তাঁদের নেই। কোনওরকমে শুকনো মুড়ি, পাউরুটি খেয়ে দুপুরের খাবার সারেন৷ মূলত, তাঁদের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত৷ এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'মায়ের রান্নাঘর'৷

এখানে উপভোক্তাদের জন্য দরিদ্র-বড়লোকের কোনও ভেদাভেদ করা হয়নি৷ যে কেউ চাইলেই পাবেন পাঁচ টাকায় খাবার। কমিটির এক কর্তা সঞ্জয় মজুমদার জানান, আপাতত একদিনই খাবার সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ আগামিদিনে আরও অন্য কোনও ক্লাব যদি এগিয়ে আসে, তা হলে মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিদিনই পাঁচ টাকায় খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হবে৷

লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পাঁচ-সাত দিনের দুর্গা পুজোর বিশাল আয়োজনের পাশাপাশি, সমাজসেবা মূলক একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত এই ক্লাব৷ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির থেকে শুরু করে রক্তদান ও নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লেগেই রয়েছে৷ এতদিনের প্রথাগত সমাজসেবা মূলক কাজের বাইরে দাঁড়িয়ে অভুক্তদের জন্য মাত্র পাঁচ টাকায় খাবার তুলে দেওয়ার ঘটনা এই শহরে প্রথম বলে মনে করছেন উদ্যোক্তাদের একাংশ৷ দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির বাজারে দাঁড়িয়ে পাঁচ টাকায় পেটভরা খাবার পেয়ে খুশি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিজনরাও৷ কেননা, বাইরে থেকে এই একই পরিমাণ খাবার কিনতে খরচ হত প্রায় ৩০ টাকার কাছাকাছি৷ ৩০ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৫ টাকায় খাবারের সন্ধান মেলায় অভিভূত সকলেই৷